দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের দৌসা এলাকায় আচমকাই ধস নামে। এর জেরে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। কেন এই রাস্তায় ধস নামল তা নিয়ে চারদিকে খোঁজাখুজি করা শুরু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, ইঁদুরের জেরে এই গর্ত তৈরি হয়েছে। যাইহোক, এই দাবিটি এখন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং এই কর্মচারীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। কেসিসি বিল্ডকন কোম্পানির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
সংস্থাটি এই বিষয়ে এনএইচএআইকে একটি চিঠি লিখে পুরো বিষয়টি জানিয়েছিল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যে আধিকারিক দাবি করেছিলেন যে হাইওয়েতে ইঁদুরের গর্ত রয়েছে, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি নিজেকে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপক হিসেবে পরিচয় দেন।
সংস্থাটি তার চিঠিতে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তিনি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপক ছিলেন না, ছিলেন কেসিসি বিল্ডকনের জুনিয়র কর্মী। সংস্থাটি আরও লিখেছে যে তারা যে বিবৃতি দিয়েছে তা প্রযুক্তিগত বোঝাপড়ার ভিত্তিতে নয়।
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কর্মচারী দাবি করেছেন, ইঁদুর বা ছোট কোনো প্রাণী হয়তো হাইওয়েতে গর্ত তৈরি করেছে। দৌসায় এক্সপ্রেসওয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর বলবীর যাদব জানিয়েছেন, জল চুঁইয়ে পড়ায় রাস্তা ধসে পড়েছে। দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে যা ১,৩৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি দুটি শহরের মধ্যে ভ্রমণের সময়কে ২৪ ঘন্টা থেকে মাত্র ১২-১৩ ঘন্টা হ্রাস করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আর সেই ঝা চকচকে রাস্তাতেই ধস নামে। আর এই ধসের জন্য ইঁদুরের ঘাড়ে যাবতীয় দোষ চাপানো হয়েছিল। তবে এবার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। যে কর্মচারী এভাবে ধসের জন্য ইঁদুরের উপর দোষ চাপিয়েছিলেন তাকেই এবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ কোম্পানি জানতে পেরেছে কোনওভাবে জল চুঁইয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিল। যার জেরে এভাবে রাস্তা ধসে যায়। এর সঙ্গে ইঁদুরের কোনও সম্পর্ক নেই।