কার যে কখন ভাগ্যের দরজা খুলে যায় আগে থেকে বোঝা যায় না। সিঙ্গাপুরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর জন্য সোনার অলঙ্কার কিনেছিলেন। সেটাও প্রায় তিন মাস আগে। আর সেই সোনা কেনাই তাঁর জীবনের মোড় একেবারে ঘুরিয়ে দিল। ওই ব্যক্তির নাম বালাসুহ্মমণিয়ম চিদম্বরম। তিনি সিঙ্গাপুরের মুস্তাফা জুয়েলারি থেকে স্ত্রীর জন্য সোনার অলঙ্কার কিনেছিলেন। আর সেই সোনার দোকানে লাকি ড্রয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে তিনি এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার জিতেছেন। সব মিলিয়ে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গিয়েছে, এই লাকি ড্রটি ছিল ওই সোনার দোকানের বার্ষিক একটা ইভেন্টের অংশ। রবিবার সিভিল সার্ভিস ক্লাবে হয়েছিল। সেই ইভেন্টে বলা হয়েছিল যে সমস্ত ক্রেতারা কমপক্ষে ২৫০ মার্কিন ডলারের কেনাকাটা করেছেন তাঁরা এই খেলায় অংশ নিতে পারবেন। অর্থাৎ ভারতীয় টাকায় প্রায় ১৫,৬৫০ টাকার কেনার উপর এই লটারি ছিল। ওই ব্যক্তি প্রায় ৩ লাখ ৭৯ লাখ টাকার গয়না কিনেছিলেন। তিনি সোনার হার কিনেছিলেন স্ত্রীর জন্য। কিন্তু সেই হার কেনা যে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে সেকথা কে জানত!
এদিকে লটারির ফলাফল বের হতেই দেখা গেল জিতে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এরপরই তিনি আনন্দে একেবারে আটখানা। এদিকে তাঁর বাবার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি এই সুখবর পান। তাঁর মতে এটা পুরো আশীর্বাদ। বাবার আশীর্বাদ।
২১ বছর ধরে তিনি সিঙ্গাপুরে কাজ করেন। তিনি সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এদিকে এই ইভেন্টে অনেকেই পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁরাও অত্যন্ত খুশি। এদিকে কার্যত স্ত্রীর পরামর্শে তাঁর অনুরোধেই তিনি হার কিনতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই মিলে গেল বিরাট পুরস্কার। এর আগে গত বছর এপ্রিল মাসে মালায়েশিয়ার এক ব্যক্তি স্ত্রীর কথা শুনে ৫.৬ কোটি জিতেছিলেন লটারিতে।
ওই ব্যক্তির নাম চেং। তার একটা স্বভাব ছিল একটা নির্দিষ্ট নম্বরের লটারি তিনি কিনতেন। কিন্তু সেদিন তিনি এই নম্বরের লটারি পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি স্ত্রীর কথা মতো অপর একটি সিরিজের লটারি কেন। আর তাতেই খুলে গেল ভাগ্যের দরজা। তিনি বিপুল টাকার লটারি পান। কার্যত তাঁর সামনে খুলে গেল ভাগ্যের দরজা। তিনি বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন।