একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। ২৪ বছর বয়সি এক ফটোগ্রাফার এক বিবাহিতা মহিলার ছবি তুলেছিলেন। এরপর তিনি সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। বিষয়টি জানতে পেরে রেগে যান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর ওই ফটোগ্রাফারকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় ওই মহিলার ভাই ও এক আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
ওই ফটোগ্রাফারের নাম চন্দন বিন্দ। গত ১৮ মার্চ তাকে চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। একের পর এক ছুরি দিয়ে আঘাত করে গমের জমিতে পুঁতে ফেলা হয়।
পাঁচ দিন পরে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২৩ শে মার্চ তার দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। ভিন্দের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
সার্কেল অফিসার মহম্মদ ফাহিম জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত সুরেন্দ্র যাদবের বোনের সঙ্গে চন্দনের যোগাযোগ ছিল। বিয়ের পরেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। বার বার তাকে ডাকত। কিন্তু ওই মহিলা দেখা করতে চাইতেন না।
এর জেরেই হতাশ হয়ে যান ওই যুবক। এরপর তিনি ওই বিবাহিতা মহিলার ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। তারপরই সেই ছবি কার্যত ভাইরাল হয়ে যায়। এর জেরে শ্বশুরবাড়ির মধ্য়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়। এরপর ওই বিবাহিতা মহিলা গোটা বিষয়টি জানান শ্বশুরবাড়িতে। এরপরই সুরেন্দ্র শোধ তোলার পরিকল্পনা নেন।
এরপর দোলের দিন একটা নির্জন জায়গায় চন্দনকে ডাকা হয়। সেখানে সুরেন্দ্র আর তার ভাই রোহিত ছিলেন। এরপর চন্দনকে সেখানে খুন করা হয়। এরপর গমের জমিতে তার দেহ ফেলা হয়।
চন্দনের বাবা অভিযোগে জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা তাঁর ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর তাকে খুন করে। তার দেহটি ফেলে দেয় জমিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা খুনের কথা স্বীকার করেছে। তিনটি ছুরি যেটা খুনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।