বৃহস্পতিবার অন্ধ্র প্রদেশে এক প্লাস্টিক কারখানায় বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক করে মারা গিয়েছেন কমপক্ষে ৮ জন, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ডিজি এস এন প্রধান জানিয়েছেন, ওই কারকখানায় উৎপাদিত পলিস্টাইরিন প্লাস্টিক অত্যন্ত দাহ্যশীল পদার্থ এবং তা পুড়লে এক বিষাক্ত গ্যাস বের হয় যার সংস্পর্শে মারাত্মক অসুস্থ হয় মানুষ। তার জেরে গা-বমি ভাব ও আচ্ছন্নতা দেখা দেয়।
মানবশরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল করে দেয় স্টাইরিন গ্যাস। তার সংস্পর্শে এলে গলা, চোখ ও ত্বক-সহ শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্টাইরিন গ্যাস প্রাকৃতিক ভাবে উপস্থিত থাকে কিছু কিছু ফল, সবজি, বাদাম, মাংস ও পানীয়র মধ্যে।
কৃত্রিম অবস্থায় এই গ্যাস উপস্থিত থাকে সিগারেট ও একজস্ট ধোঁয়ায়।
স্টাইরিন থেকে তৈরি হয় একাধিক নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী যার মধ্যে রয়েছে ইনসুলেশন, পাইপ, গাড়ির যন্ত্রাংশ, প্যাকেজিং মেটিরিয়াল, কার্পেটের পিছনের ব্যাকিং, ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, ব্রিফকেস ও স্যুটকেস, জুতো, পালিশের উপাদান, কপি মেশিন টোনার, প্রিন্টিং কার্ট্রিজ, খেলনা-সহ একাধিক সামগ্রী।
অন্ধ্য প্রদেশের কারখানাটি কোরিয়ার ব্যাটারি উৎপাদক সংস্থা এলজি কেমিক্যালস-এর মালিকানাধীন। কারখানাটি বিশাখাপত্তনম শহর থেকে ১৪ কিমি দূরে অবস্থিত। আগে এই কারখানার মালিক ছিল হিন্দুস্তান পলিমার্স। ১৯৯৭ সালে অধিগ্রহণের পরে সংস্থার নামকরণ হয় এলজি পরিমার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।
এই কারখানায় উৎপাদিত পলিস্টাইরিন থেকে তৈরি হয় পাখার ব্লেড, কাপ ও অন্যান্য বাসনপত্র এবং প্রসাধন রাখার কন্টেনার।
এ দিন দুর্ঘটনার পরে আশপাশের এলাকা থেকে কয়েকশো বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।