মহিলাদের জন্য ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-র পরিকল্পনা করছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার 'ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ উইমেন অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্সেস'-র (বিজ্ঞান ক্ষেত্রে মহিলাদের দিবস) শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়েছেন, 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'-কেই স্থায়ীভাবে 'নিউ নর্ম্যাল' করার পরিকল্পনা করছে সরকার। আর সেক্ষেত্রে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে কবে থেকে সেই 'নিউ নর্ম্যাল' চালু হবে এবং কবে থেকে নয়া নীতি চালু হবে, তা খোলসা করেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, তাঁর সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে কর্মক্ষেত্রে আরও মানুষকে যোগ দিতে উৎসাহ প্রদান করবে। বিশেষত মহিলারা উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
কর্মক্ষেত্রে আরও উৎপাদনশীলতা বাড়বে, আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী
আর কী কারণে এমন ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, সেটাও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর পর থেকে কর্মজীবনের ক্ষেত্রে একটা বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম', 'কো-ওয়ার্কিং স্পেস' (এমন অফিস, শেখানে বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীরা একসঙ্গে কাজ করেন) এবং 'নাইবারহুড ওয়ার্কস্পেস'-র (ছোট-ছোট জায়গায় বিভক্ত অফিসের জায়গা) মতো বিষয় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেগুলির ফলে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তৃণমূল স্তরে কর্মসংস্থান হবে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
তাঁর মতে, সেইসব নয়া পদক্ষেপের ফলে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে আরও ভালো করে ভারসাম্য বজায় রাখছে। আর সেইসব পদ্ধতির মাধ্যমে ইতিবাচক পথে হাঁটতে চাইছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। আর সেই লক্ষ্যে একটা 'গেম-চেঞ্জিং' পদক্ষেপ হতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্লোবাল কেপিবিলিটি সেন্টার (জিসিসি) নীতি ৪.০।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রতিটি শহর, ছোট শহর এবং মণ্ডলে তথ্যপ্রযুক্তি অফিস তৈরির জন্য 'ইনসেনটিভ' দেওয়া হবে। যা তৃণমূল স্তরে কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলে আত্মবিশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতে কি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি আছে?
আপাতত ভারতে কোনও নির্দিষ্ট ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি নেই। যা পুরো দেশে চালু আছে। তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কোম্পানিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি চালু আছে। কর্মচারীরা বাড়ি থেকে কাজ করতেন পারেন। ২০০৬ সালের ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ নিয়মের আওতায় কর্মচারীরা ‘অফসাইটে’ কাজ করতেন, তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন বা ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’-র বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্তপূর্ণ করতে হবে।