বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > জগনের হিন্দুত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ, আবেদন খারিজ করল অন্ধ্র প্রদেশ হাই কোর্ট

জগনের হিন্দুত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ, আবেদন খারিজ করল অন্ধ্র প্রদেশ হাই কোর্ট

খ্রিস্টীয় ধর্ম সমাবেশে উপস্থিত থাকার কারণে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডিকে অ-হিন্দু বলে আদালতে অভিযোগ জানালেন এক ব্যক্তি।

আদালতের যুক্তি, শুধুমাত্র অনুষ্ঠান ও সমাবেশে যোগ দিলে কাউকে খ্রিস্টান বলা যায় না।

‘খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী’ মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি ও তাঁর মন্ত্রিসভার অ-হিন্দু সদস্যদের তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে প্রবেশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে আবেদন খারিজ করল অন্ধ্র প্রদেশ হাই কোর্ট।

আবেদনকারীর যুক্তি, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে খ্রিস্টান প্রমাণ করতে খ্রিস্টীয় ধর্ম সমাবেশে উপস্থিত থেকেছেন। তা সত্ত্বেও বিধি ভেঙে তিনি হিন্দু মন্দিরে প্রবেশ করেন। 

সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি বাট্টু দেবানন্দের এক সদস্যের বেঞ্চ। আদালতের পালটা যুক্তি, শুধুমাত্র অনুষ্ঠান ও সমাবেশে যোগ দিলে কাউকে খ্রিস্টান বলা যায় না। 

১৮৭২ সালের ভারতীয় খ্রিস্টান বিবাহ আইনের তৃতীয় ধারায় উল্লিখিত  ‘খ্রিস্টান’ ও ‘দেশীয় খ্রিস্টান’ শব্দের সংজ্ঞা উদ্ধৃত করে আদালত জানায়, এমন কোনও নথিপত্র জমা পড়েনি যাতে মুখ্যমন্ত্রী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী হিসেবে প্রমাণিত হন। 

আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে হাই কোর্ট প্রশ্ন তোলে, ‘বাইবেলে উল্লিখিত নামধারী হলে বা গির্জায় উপদেশ শুনলেই কি কাউকে খ্রিস্টান বলা যায়? বাইবেল পড়লে এবং বাড়িতে ক্রুসিফিক্স রাখলেই কি কাউকে খ্রিস্টান বলা চলে? স্বাভাবিক ভাবেই এর উত্তর নেতিবাচক হবে।’

কিছু দিন আগে এক গুরুদ্বারায় গিয়েছিলেন বলে মুখ্যমন্ত্রী শিখ ধর্ম প্রচার করছেন বলা চলে কি না, তা-ও জানতে চায় আদালত। 

উল্লেখ্য, আবেদনকারী অলোকম সুধাকর বাবু স্বঘোষিত শ্রী বেঙ্কটেশ্বর স্বামীর ভক্ত। মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, আইন অমান্য করে কোনও ঘোষণাপত্র ছাড়াই অন্ধ্র প্রদেশ মন্ত্রিসভার অ-হিন্দু সদস্যদের তিরুপতি তিরুমালা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। 

প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালের অন্ধ্র প্রদেশ দাতব্য ও হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, অ-হিন্দু দর্শণার্থীদের মন্দির চত্বরে প্রবেশের আগে শ্রী বেঙ্কটেশ্বর স্বামীর প্রতি বিশ্বাস রয়েছে জানিয়ে প্রবেশাধিকারের জন্য আবেদন জানাতে হয়।

বন্ধ করুন