ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে বলায় মহিলা সহকর্মীকে অফিসের ভিতরে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার অন্ধ্র প্রদেশ পর্যটন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মী।
গত শনিবার নেলোর শহরে অন্ধ্র প্রদেশ পর্যটন দফতরের দরগামিট্টা এলাকার ওই হোটেলের ডেপুটি ম্যানেজার সি ভাস্কর এক মহিলা কর্মীকে অকথ্য গালিগালাজের সঙ্গে চেয়ারের কাঠের হাতল দিয়ে মারধর করেন। সেই দৃশ্য ধরা পড়ে অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে। পরে সেই ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ও স্থানীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪৩ বছরের মহিলা সহকর্মীর প্রতি আগে থেকেই রাগ ছিল ভাস্করের। শনিবার সিনিয়র অ্যাকাউন্ট্যান্ট নরসিমহা রাওয়ের সঙ্গে তিনি যখন কথা বলছিলেন, সেই সময় ওই কর্মী তাঁকে করোনা সংক্রমণ রোধে ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে বলেন। তাতে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মহিলার ডেস্কে চড়াও হয়ে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে টেনে চেয়ার থেকে মাটিতে ফেলেন ডেপুটি ম্যানেজার। সেই সঙ্গে অশালীন ভাষায় গালিগালাজের সঙ্গে সমানে চেয়ারের ভাঙা হাতল দিয়ে পেটাতে থাকেন ভাস্কর।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভাস্করকে নিরস্ত করতে নরসিমহা-সহ অন্যান্য অফিসকর্মীরা বহু চেষ্টা করেও এঁটে উঠতে পারেননি। কোনও রকমে শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিরস্ত করা গিয়েছে। এ দিকে অসহায় মহিলাকে মাটিতে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। পরে কয়েক জন সহকর্মীর সহযোগিতায় থানায় ভাস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভাস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (মহিলার শ্লীলতাহানির উদ্দেশে শারীরিক নিগ্রহ), ৩৫৫ (মর্যাদাহানি) ও ৩২৪ (হাতিয়ারের সাহায্যে ক্ষত তৈরি করা) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আদালত ওই পর্যটন আধিকারিককে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে হাজতে পাঠিয়েছে।
দরগামিট্টা থানার সাব-ইন্সপেক্টর কে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, ‘নেলোর জেলা পুলিশ মহিলাদের বিরুদ্ধে যে কোনও অবৈধ কাজ ও অপরাধের বিষয়ে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। নারী নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’