মাত্র ১৮ মাসের একরত্তি শিশু। তাকেই বীভত্স মারধর। শুধু তাই নয়। পুরো ঘটনার ভিডিয়ো করত তার মা। যুবতীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। বর্তমানে যুবতীর বয়স ২২ বছর। তার স্বামীর বয়স ৩৭। দুজনের মধ্যে শুরু থেকেই একটুও বনিবনা ছিল না বলে জানিয়েছেন আত্মীয়রা।
গত দেড় মাস আগে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। তামিলনাড়ুর বাড়ি থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের পৈত্রিক বাড়িতে চলে আসে তরুণী। তাঁদের দুই সন্তান। একজনের বয়স ৪ বছর, আর অপর জনের বয়স ১৮ মাস।
এই দ্বিতীয় সন্তানের উপরেই বর্বর অত্যাচার চালাত যুবতী। রক্তাক্ত করে দেওয়া হত তাকে। তার ভিডিয়োও তুলে রাখত নিজের ফোনে। সেই ফোনের ভিডিয়োই কোনওভাবে দেখতে পান আত্মীয়রা। তাঁদের মারফত তা যায় যুবতীর স্বামীর কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দুই সন্তানকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। আপাতত দুজনেই সুস্থ আছে।
এরপর তামিলনাড়ুতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশ গিয়ে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। যুবতীর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতে তার শিশুদের উপর ভয়ানক অত্যাচারের বহু ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে।
যুবতীর বাবা জানিয়েছেন, 'শরীর খারাপের নাম করে সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল মেয়ে। কিন্তু এমন কাজ করত, তা আমার জানা ছিল না।'