মোহন রাজপুত
উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন এলাকায় ১৩ বছরের এক কিশোরকে কুমীরে খেয়ে ফেলেছিল বলে এলাকায় রটে যায়। আর তারপরই সেই কুমীরকে ধরে, পিটিয়ে মেরে ফেললেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ এমনটাই। ইউএস নগরে কুমীরটিকে বেধড়ক পেটানো হয়। আর তার জেরেই রবিবার সন্ধ্যায় মারা যায় কুমীরটি।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নদীর ধারে এক মেষপালককে খেয়ে ফেলেছে কুমীরটি। তারপরই গ্রামাবাসীদের রাগ গিয়ে পড়ে কুমীরটির উপর।
কুমায়ুনের তরাই পূর্ব ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন, আমাদের আধিকারিকরা কুমীরটিকে গ্রামবাসীদের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। গ্রামবাসীরা দাবি করেছিলেন, ওই কুমীরটিকে এক্সরে করে দেখতে হবে তার ভেতরে কিশোরের হাড়গোড় কিছু আছে কি না। আমাদের পশু চিকিৎসক কুমীরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এক্স-রে করার কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি মারা যায়।
তবে বনদফতর জানিয়েছে এক্সরে তে দেখা গিয়েছে এটির পেটে কিশোরের কোনও দেহাবশেষ নেই।
এদিকে বনদফতর সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যা নদীর ধারে মোষ চড়াচ্ছিল ১২ বছরের এক কিশোর। এরপর একটি মোষ নদীতে চলে যায়। ওই কিশোর মোষটিকে বাঁচাতে নদীতে নেমে পড়ে। এরপরই তার চিৎকার শোনা যায়। পরে আর তাকে দেখা যায়নি। এরপরই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা জাল নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে। সেখান থেকে একটি কুমীরকে তারা ধরে ফেলে। এরপর নদীর পাড়ে কুমীরটিকে নিয়ে এসে তারা মারতে শুরু করে। তারা ভেবেছিলেন কুমীরটি কিশোরকে গিলে ফেলেছে। পেট কেটে কিশোরকে বের করার পরিকল্পনা করেছিল তারা।
পরে এক্সরে করেও কোনও দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি। কুমীরটি প্রায় ১০ ফুট লম্বা। ডিএফও জানিয়েছেন, কিশোরের খোঁজ চলছে। যারা কুমীর মেরেছিল তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে।