হাতি সহ অন্যান্য বন্য জন্তুরা বহুকাল ধরে নির্দিষ্ট করিডর ব্য়বহার করে যাতায়াত করে। আর এখানে নির্মাণ হলেই শুরু হয় মানুষ ও পশুর মধ্য়ে সংঘাত। এবার করিডর রক্ষায় বড় নির্দেশ দিল আদালত। অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও টাইগার রিজার্ভের সঙ্গে যোগাযোগকারী ৯টি করিডর থেকে সমস্ত নির্মাণ সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এই করিডর ধরেই বন্য জীবজন্তুরা যাতায়াত করে। সেই করিডরকেই এবার নির্মাণমুক্ত করার জন্য অসম সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত বিশেষ কমিটি ইতিমধ্যেই অসমের মুখ্যসচিব জিষ্ণু বড়ুয়াকে গত ৬ই অক্টোবর একটি চিঠি দিয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কতটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেব্যাপারে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছিল বন্য জন্তুদের যাতায়াতকারী করিডরে সমস্ত নতুন নির্মাণ নিষিদ্ধ করতে হবে। এরপরেও নতুন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত রিপোর্টের পরেই বিশেষ পদক্ষেপ শীর্ষ আদালতের। আদালত নিয়োজিত কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি অমরনাথ শেঠী বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী সমস্ত নতুন নির্মাণ সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করা হচ্ছে। ৯টি অ্য়ানিমাল করিডরে যাতে অন্য কোনও নতুন নির্মাণ যাতে না হয় সেটাও দেখতে হবে।
এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে সিইসির নির্দেশে একটি রিপোর্ট তৈরি করে বনদফতর। সেখানে দেখা যায় ৯টি করিডরের মধ্যে ৮টিতেই আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে নির্মাণ করা হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা যায় মন্দির, দোকান, হোটেল, ধাবা, টি এস্টেট এমনকী সরকারি ভবনও হয়ে গিয়েছে এই অ্যানিমাল করিডরে। হলদিবাড়ি ও কাঞ্চনজুড়ি করিডরে সবথেকে বেশি এই নির্মাণ হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে বনকর্তার দাবি, রায়তী জমিতেই এই অ্য়ানিমাল করিডর পড়ে গিয়েছে। সেক্ষত্রে বনদফতর সেগুলি সরাতে পারবে না। প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে।