করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত অতিমারীর মধ্যেই সোমবার চিনে শুরু হল বার্ষিক কুকুরের মাংস উৎসব। দশ দিন ধরে চলবে এই উৎসব।
গত ১০ এপ্রিল অভক্ষ প্রাণীর যে তালিকা প্রকাশ করে চিন সরকার, তার মধ্যে কুকুর ও বাদুড়ের নাম রয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই শুরু হয়েছে পশু নিধনের মহাযজ্ঞ।
ইউলিন শহরের এই প্রাচীন পার্বনে প্রতি বছর কয়েক হাজার পর্যটক সমাগম ঘটে। তবে চলতি বছরে Covid-19 সংক্রমণের কারণে উৎসবে লোক জমাগম তুলনায় বেশ কিছু কম। এই উৎসব উপলক্ষে মাংস খাওয়ার জন্য প্রচুর খাঁচাবন্দি কুকুর বিক্রি হয়।
গত কয়েক বছর ধরে ইউলিনের এই উৎসবের তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন পশুপ্রেমীরা। চিনের হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল নামে এক পশুপ্রেমী সংগঠনের বিশেষজ্ঞ পিটার লি জানিয়েছেন, ‘উৎসবের নামে ভিড়েঠাসা বাজার ও রেস্তোরাঁয় কুকুরের মাংস বিক্রির এই আয়োজন জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।’
চিনের মাংসপ্রীতির জেরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎপত্তি হয়েছে, এই মতবাদে বিশ্বাসীরা আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল আপত্তি আগেই তুলেছেন। তার জেরে খাদ্যের প্রয়োজনে বন্যপ্রাণ কেনাবেচার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেজিং। কিন্তু তা যে জনমানসের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তা বার বার প্রমাণিত হচ্ছে।
চিনের আর এক পশুপ্রেমী ঝ্যাং কিয়ানকিয়ান জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধ্যেই সম্ভবত কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে প্রশাসন। তাঁর দাবি, ‘মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গেল কথা বলে আমরা বুঝতে পেরেছি, নেতারা জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে কুকুরের মাংস খাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।’
হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যশনাল-এর হিসেব অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ লাখ কুকুর ইউলিন উৎসবে মাংসের জন্য বিক্রি হয়।