গোপন রেখেছেন নাম। একেবারে প্রচারের অন্তরালে থেকে হাসপাতালের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টে ১০ কোটি টাকা দান করলেন এক ব্যক্তি। চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের সেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
হাসপাতালের কর্তারা জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি অনুদান দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের যোগসূত্রও আছে। নাম গোপন রেখেই নিজের সঞ্চয় হাসপাতালে দান করে দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, গত মাসে ২৪ কিডনির ট্রান্সপ্ল্য়ান্ট করা হয়েছিল হাসপাতালে। এক রোগীর আত্মীয় সেই অর্থ দান করেছেন।
আরও পড়ুন: Viral Optical Illusion: শতাব্দী প্রাচীন ধাঁধা! আজও সমাধান করতে পারেন না বেশির ভাগই, আপনি কি পারবেন
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, চেকের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা দান করেছেন ওই ব্যক্তি। কিডনি ট্রান্সপ্ল্য়ান্টের জন্য অর্থ দান করা হলেও আদতে কোন ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকা ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ কর্তৃপক্ষ।
এমনিতে ১০ কোটি টাকার চেকের ফলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অনুদানের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এতদিন সর্বোচ্চ অনুদানের অঙ্ক ছিল ৫০ লাখ টাকা। হাসপাতালে গরিব রোগীদের কল্যাণ তহবিলের মাধ্যমে গত তিন বছরে ৯,০০০ রোগীর চিকিৎসা হয়েছে।
কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টে কত টাকা খরচ হয়?
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান ডক্টর আশিস শর্মা জানিয়েছেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে সাধারণত ৪০,০০০ টাকা খরচ হয়। যদি জটিলতা থাকে, তা দু'লাখ টাকাও খরচ হতে পারে। যদি ব্লাড গ্রুপ নিয়ে জটিলতা থাকে, তাহলে অঙ্কটা ছয় লাখও ছুঁতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ট্রান্সপ্ল্যানেট পর জীবনভর ওষুধ খেতে হয়। প্রতি মাসে ওষুধের জন্য ১,২০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয় রোগীদেরয