স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকে পবিত্র গুরু গ্রন্থ সাহিবের অবমাননা করার অভিযোগে গতরাতেই অমৃতসরে গণপ্রহারে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। এই অভিযোগে ফের গণপিটুনিতে আরও এক যুবককে হত্যা করা হল পঞ্জাবে। এবার ঘটনাটি ঘটেছে কপুরথলায়। রবিবার ভোরে পঞ্জাবের নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দারা গুরুদ্বারের পাশেই এক যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। অভিযোগ, মৃত সেই যুবক নিশান সাহিবের (শিখদের পবিত্র পতাকা) অবমাননা করেছিল। এর জেরেই তাকে গণপ্রহার দিয়ে মেরে ফেলা হয়।
জানা যায়, ভোরে সেই যুবককে গুরুদ্বারের পাশে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপরই তাকে মারতে শুরু করে স্থানীয়রা। পরে ঘটনা ঘিরে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় গ্রামবাসীদের। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে স্থানীয়দের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গুরুদ্বারের ভিতরে চলে যায়। তবে পুলিশকে সেই যুবককে নিয়ে সেখান থেকে যেতে দেয়নি গ্রামবাসীরা। পরে জানা যায়, সেই যুবক প্রাণ হারিয়েছে।
এর আগে শনিবার স্বর্ণ মন্দির চত্বরে একই ধরনের ঘটনায় একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। পবিত্র পাঠের সময় এক ব্যক্তি ঘেরাটোপ টপকে গুরু গ্রন্থ সাহিবের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকী পবিত্র ধর্মগ্রন্থের উপরে রাখা কৃপাণটি তুলে ফেলেন বলেও অভিযোগ। এদিকে স্বর্ণ মন্দির চত্বরে থাকা এসজিপিসির অফিসে তাকে নিয়ে আসা হলে উত্তেজিত ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়ে যান। তাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে তারা সরব হন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।