যাত্রীদের সুবিধার্থে গুরুগ্রাম থেকে দিল্লি পর্যন্ত আরেকটি নয়া মেট্রো রুট তৈরি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই নয়া রুটের জন্য ডিপিআর প্রস্তুত করে ফেলেছে হরিয়ানা ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (এইচএমআরটিসি)। গুরুগ্রামের রেজাংলা চক থেকে দ্বারকা সেক্টর-২১ পর্যন্ত প্রস্তাবিত এই মেট্রো রুটের ডিপিআর অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৮.৪০ কিলোমিটার। এই মেট্রো রুটটি নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ১৮৯২ কোটি টাকা। মঙ্গলবার এই নিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি।
আরও পড়ুন: ‘এখানেই কেউ চেনে না…’, মেট্রো চেপে সংসদে গেলেন সায়নী, হলেন কটাক্ষের শিকার!
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী শীঘ্রই এই মেট্রো রুটের বিষয়ে নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে তিনি এই মেট্রো প্রকল্প অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কাছে অনুরোধ করতে পারেন। প্রসঙ্গত, এই মেট্রো রুট তৈরির বিষয়ে আগ্রহী মনোহরলাল খট্টর। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি নিজেই এই মেট্রো রুটের ডিপিআর প্রস্তুত করার নির্দেশ জারি করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে এই মেট্রো রুটে ৭টি স্টেশনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুগ্রামে চারটি স্টেশন তৈরি করা হবে। বাকি তিনটি স্টেশন তৈরি করা হবে দিল্লিতে। গুরুগ্রামে যে চারটি মেট্রো স্টেশনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল- পালাম বিহার, চৌমা, সেক্টর-১১০এ এবং সেক্টর-১১১এ। অন্যদিকে, দিল্লিতে দ্বারকার সেক্টর-২৮, আইআইসি এবং সেক্টর-২১এ মেট্রো স্টেশন। এর মধ্যে পালম বিহারে একটি তিনতলা ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন তৈরি করা হবে। এই স্টেশনের মাধ্যমে মিলেনিয়াম সিটি সেন্টার থেকে সাইবার সিটি পর্যন্ত প্রস্তাবিত মেট্রোর (ওল্ড গুরুগ্রাম মেট্রো) সঙ্গে সংযোগ করা হবে।
এই মেট্রো রুট নির্মাণের জন্য ৬০,৫৩৯ বর্গমিটার জমির প্রয়োজন হবে। যার মধ্যে মেট্রো স্টেশন এবং ডিপো তৈরি করা হবে। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে ঢালাই ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার বর্গমিটার জমি প্রয়োজন। মেট্রো নিয়ে আজকের বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন জিএমআরএল, এইচএমআরটিসি, পুরসভা, জিএমডিএ, এইচএসআইআইডিসি, টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি প্ল্যানিং বিভাগ, পিডব্লিউডি বিএন্ডআর, এইচএসভিপি, জমি অধিগ্রহণ বিভাগের আধিকারিকরা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশা
এই মেট্রো রুট থেকে ২০৩১ সালে বছরে ৩৮০ কোটি টাকা, ২০৪১ সালে বছরে ৭২০ কোটি টাকা এবং ২০৫১ সালে বছরে ১২৩৮ কোটি টাকা আয় হবে। এছাড়াও, অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন পার্কিং ফি, বিজ্ঞাপন, কর থেকে আয় হবে আরও কয়েকশো কোটি টাকা।