এপারের কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন চলছে। কারণ করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। এবার ওপার বাংলাতেও বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল। যদিও বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে সেখানে করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর তা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। লকডাউন বাড়লেও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে আন্তঃজেলা বাস। রবিবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। নয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে আজ থেকেই।
আজ ক্যাবিনেট ডিভিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এক জেলা থেকে অন্য জেলাগুলি গণ পরিবহনে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগেও শুধুমাত্র জেলাগুলির মধ্যে গণ পরিবহণ চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৩ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ মে পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে হোটেল–রেস্তোরাঁগুলিতে মোট আসনের ৫০ শতাংশের বেশি ক্রেতা থাকা চলবে না। অবশ্যই যাত্রী–সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরতে হবে এবং সবাইকে সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। গত ৫ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। ১৪ এপ্রিল বিধিনিষেধ কঠোর করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ১৬ তারিখ থেকে ফের সাতদিনের কড়া লকডাউন জারি ছিল। এবার তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ল।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধই রয়েছে। জন সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হয়েছে। এদিনের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পদ্মাপারে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১২,৩৭৬। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৮৯,০৮০।