করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘রেমিডিসিভিরের দাম কমাল কেন্দ্র। শনিবার কেন্দ্রের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে এমনই জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে নির্দেশিকাটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, রেমিডিসিভিরের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ইঞ্জেকশনটি সহজলভ্য ও সাধ্যের মধ্যে পাওয়ার জন্য কেন্দ্র দাম কমিয়েছে।
দেশের মোট সাতটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা এই ১০০ মিলিগ্রাম ভায়েলের দাম কমিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৫,০০০ টাকার টাকার বেশি দামের এই ইঞ্জেকশনের, কোথাও ২৫ শতাংশ আবার কোথাও ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। তার মধ্যে হল - ক্যাডিলা হেলথকেয়ার লিমিটেডের ‘রেমড্যাক’, যার দাম ২,৮০০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৮৯৯ টাকা। সিঞ্জিন ইন্টারন্যাশনালের ‘রেমউইন’ ৩,৯৫০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২,৪৫০ টাকা। ডঃ রেড্ডি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ‘রেডেক্স’ ৫,৪০০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২,৭০০ টাকা।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন অবশ্য জানিয়েছিলেন, রেমিডিসিভির ব্যাবহারের ক্ষেত্রে এমন কোনও তথ্য নেই, যেখানে কোনও হাসপাতালে ভরতি রোগীদের উপকার হয়েছে। তবে রোগের কিছু ক্ষেত্রে উপকার হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা কিছু সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রেই হয়েছে। এই ইঞ্জেকশনটি এখনও মৃত্যুর হার রোধ করতে সক্ষম নয়। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। করোনার চিকিৎসার জন্য ভারতের চিকিৎসকরা এই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেন। তবে হু—এর কেন্দ্র থেকে এর রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।