ইমরান গদিচ্যুত হতেই পাক-মার্কিন সম্পর্কে নয়া মোড়, শেহবাজকে ‘ব্যান্ডেজ’ পাঠাল ওয়াশিংটন

ইমরানের অভিযোগের তিরে ইসলামাদ-ওয়াশিটন সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। শেহবাজ গদিতে বসার পর সেই চিড় মেরামতির কাজে নামল আমেরিকা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (ছবি - এএফপি) (HT_PRINT)

ইমরান গদি থেকে হটতেই পাকিস্তানের প্রতি সুর নরম আমেরিকার। ৭৫ বছর পুরোনো সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে বার্তা দিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। উল্লেখ্য, এর আগে নিজের গদি বাঁচাতে ইমরান খান বারবার আমেরিকার দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছিলেন যে পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে আমেরিকা। তিনি শেহবাজের সরকারকে ‘আমদানিকৃত সরকার’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। এদিকে ইমরানের বারংবার আক্রমণ ও অভিযোগের জেরে ইসলামাদ-ওয়াশিটন সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। শেহবাজ গদিতে বসার পর সেই চিড় মেরামতির কাজে নামল দুই পক্ষই।

পাকিস্তানের উদ্দেশে ব্লিনকেনের বার্তা, ‘আমরা আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দিই। নবনির্বাচিত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আমরা পাকিস্তান সরকারের সাথে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য মুখিয়ে আছি।’ ব্লিনকেন আরও বলেন, ‘৭৫ বছর ধরে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী থেকেছে পাকিস্তান। একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক পাকিস্তান দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এটা আমাদের উভয় দেশের স্বার্থের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করি আমরা।’

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল ভোর রাতে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৭৪-০ ব্যবধানে আস্থা ভোটে হেরে গদিচ্যুত হন ইমরান খান। এর আগে তিনি সরাসরি এক মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু-র নাম নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন যে আমেরিকা তাঁক সরকারের পতন ঘটাতে চায়। ইমরানের অভিযোগ ছিল, তাঁর রাশিয়া সফরের কারণে আমেরিকা পিটিআই সরকার ফেলে দিতে চেয়েছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এর আগে পাক সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজও করে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মামলা পৌঁছায় পাক সুপ্রিম কোর্টে। শেষে সুপ্রিম নির্দেশে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। গদিচ্যুত হন ‘কাপ্তান’। এখন পাকিস্তানের সঙ্গে তাই সম্পর্কে ব্যান্ডেজ লাগাতে শুরু করল আমেরিকা।