অক্সিজেন সংগ্রহের যাবতীয় দায়িত্ব কেন্দ্রের। দিল্লি হাইকোর্টে এমনই দাবি করলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সোমবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মেহতা জানান, জাতীয় স্তরে অক্সিজেনের সংগ্রহ করতে হবে। নাহলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।
সোমবার হাইকোর্টে দিল্লি সরকারের আইনজীবী রাহুল মেহরা জানান, অক্সিজেন এবং ট্যাঙ্কার পাঠানোর আর্জি জানিয়ে সজ্জন জিন্দলকে চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু মেহতা জানান, কোনও শিল্প সংস্থা রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন জোগানের পরিকল্পনা করলেও কেন্দ্রীয় রুট ধরে যেতে হবে, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী রাজ্যগুলিকে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া সম্ভব হয়। রাজ্য সরকারগুলি খালি ট্যাঙ্কারের বন্দোবস্ত করতে পারবে। কিন্তু অক্সিজেন-ভরতি ট্যাঙ্কার জোগাড় করতে পারবে না। প্রত্যুত্তরে দিল্লি সরকারের আইনজীবী জানান, ট্যাঙ্কারের জন্যই আবেদন জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের জোগানের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভাঁড়ারে যদি বাড়তি অক্সিজেন থাকে, সেই বাড়তি অক্সিজেনের জোগানের কথা বলেছে। যদিও মেহতা বলেন, ‘বাড়তি অক্সিজেনের বণ্টনও কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে করতে হবে।’
সলিসিটর জেনারেলের সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘ট্যাঙ্কারের জন্য আর্জি জানানোর জন্য আপনাদের (রাজ্য) হাত মুক্ত। জিন্দলকে যে আর্জি জানানো হয়েছে, ট্যাঙ্কারের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। যদি কেন্দ্র কোনও সূত্রের না কড়া নেড়ে থাকে, তাহলে আপনারা বলতে পারেন।’ তারইমধ্যে মেহতা বলেন, ‘কোনও সংস্থার কাছে যদি বাড়তি ৮০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন থাকে, সেটাও তাহলে কেন্দ্রের মাধ্যমে যেতে হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজ্যগুলি যদি নিজে থেকে সংগ্রহ করেন, তাহলে কোনও বাড়তি থাকে না। আপনাদের যা আছে, তা জাতীয় স্বার্থে দিতে হবে।’ সেইসঙ্গে কোনও সংস্থার কাছে বাড়তি অক্সিজেন থাকে, তা যাতে কেন্দ্র নিতে পারে, সেজন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ারও আর্জি জানান।