ইউক্রেন থেকে বালির বাড়িতে অবশেষে ফিরলেন ডাক্তারি পড়ুয়া অণ্বেষা দাস। চার দেওয়ালের মধ্যে, পরিবারকে আবার কাছে পাওয়ার স্বস্তি চোখে মুখে। তবুও যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের ভয়াবহ স্মৃতি মনে বড় ক্ষত তৈরি করে দিয়েছে। সেখানকার ভয়াবহ স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে এখনও গলা কেঁপে উঠছে অন্বেষার। এখনও কানে বাজে সাইরেনের শব্দ। অন্বেষা বলেন, ‘ইউক্রেনে সবার মধ্যে ভয় কাজ করত। সন্ধ্যাবেলায় ভয় আরও বাড়ত। কারণ আমাদের লাইট অফ করে বসে থাকতে হত। সাইরেন বাজত। বাঙ্কারে চলে যেতে হত। তবে বাড়ি ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু হওয়ার পরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম। মনে হত একটু আধটু কষ্ট হবে, কিন্তু বাড়ি ফিরতে হবে।’
খাওয়া দাওয়া কী হত? অণ্বেষা বলেন, ‘ইউক্রেনের মেস আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় মেস একবেলা খাবার দিত। বাকিটা সুপার মার্কেট থেকে সংগ্রহ করতে খুব কষ্ট হত। প্রায় সব খাবারই শেষের পথে। কোনওরকমে বিস্কুট, ড্রাইফ্রুট খেয়ে থাকতাম। বর্ডার পেরতে খুব ধকল হয়েছিল। ভারতীয় দূতাবাস খুব সহায়তা করেছে। তবে বন্ধুরা দিন দুয়েক ধরে ঠান্ডাতে বর্ডারে আটকে ছিল।’
অণ্বেষার মা বলেন, ‘ভারত সরকার, রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ। আমার মেয়েকে আবার ফিরে পেয়েছি। খুব চিন্তায় ছিলাম। ওর ক্লাসমেট অনেকে ফিরতে পারেননি। আমরা চাই সবাই যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন।’