স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আনুষ্ঠানিক সিলমোহরের পর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন ভারতের যে কোনও নাগরিক। আগে শুধু স্থানীয়রাই জমি কিনতে পারবেন। এবার থেকে শুধুমাত্র কৃষিজমির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকল। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্ত খুশি নয় স্থানীয় দলগুলি।
এদিনকার নির্দেশিকা অনুযায়ী কেন্দ্র জেঅ্যান্ডকে ল্যান্ড রেভিনিউ অ্যাক্ট, ১৯৯৬-এর সংশোধন করেছে। ফলে দেশের যে কোনও প্রান্তের মানুষ জমি কিনতে পারবেন এবার ভূস্বর্গে। লাগবে না ডোমিসাইল সার্টিফিকেট। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন যে জমি আইনে এই বদল মেনে নেওয়া যায় না। এবার জম্মু-কাশ্মীরকে যে কেউ কিনে নেবে বলে তিনি অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে লেহতে ভোট শেষ হওয়ার পরে এই নিয়ম আনা হল। বিজেপিকে বিশ্বাস করে লাদাখিরা এই প্রতিদান পেল বলে তিনি অভিযোগ জানান।
পিডিপির প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি বলেছেন যে জনগণের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা এটি। তাঁর অভিযোগ, ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করা, জাতীয় সম্পদ লুঠ করা ও এবার জম্মু-কাশ্মীরকে বিক্রি করার প্রচেষ্টা, সবই কেন্দ্রের পরিকল্পনা ধাপে ধাপে ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য। রুটি, রোজগার না দিতে পেরে বিজেপি এখন এমন আইন আনছে যেটা সরল মানুষকে আকৃষ্ট করে, বলে তিনি অভিযোগ করেন। একযোগে পূর্বতন রাজ্যের তিন ভাগকে এর বিরুদ্ধে লড়তে তিনি আর্জি জানান।
বিজেপি অবশ্য স্বাভাবিক ভাবেই এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছে। ভারতের ঐক্যতার বার্তা দেয় এই আইন বলে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর বিজেপির প্রধান রবীন্দর রায়না। তাঁর প্রশ্ন, অন্য রাজ্যে যদি সবাই জমি কিনতে পারেন, তাহলে এখানে ব্যতিক্রম হবে কেন।
জম্মু-কাশ্মীরের এলজি মনোজ সিনহা বলেন যে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকছে কৃষি জমি। তিনি বলেন যে চাষীদের জমিতে কোনও বহিরাগত কব্জা করতে পারবে না। শিল্পোন্নয়নের জন্য জমি চিহ্নিত করা হচ্ছে যাতে দেশের অন্য স্থান থেকে শিল্পপতিরা গিয়ে ওখানে ব্যবসা করতে পারেন। এতে জায়গার উন্নতি হবে ও কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।