পশ্চিমবঙ্গের সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে দিল্লিরও সত্তরোর্ধ্ব বয়স্ক নাগরিকদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের 'আয়ুষ্মান ভারত যোজনা'-র উদ্বোধনের সময় মোদী জানান, পুরো দেশে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ চালু করা যায়নি। কারণ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার সেই প্রকল্প চালু করতে দেয়নি। আর তার ফলে দেশের বাকি অংশের সত্তরোর্ধ্ব প্রত্যেক নাগরিক ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’-র আওতায় থাকলেও দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তৃণমূল এবং আপ সরকার ‘রাজনৈতিক স্বার্থে’ সেই কাজটা করলেও মানুষের কাছে নিজে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী।
‘আমি আপনাদের সেবা করতে পারব না’
তিনি বলেন, ‘দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে সত্তরোর্ধ্ব যত প্রবীণ মানুষ আছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি - আমি আপনাদের সেবা করতে পারব না। আমি ওঁদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমি তো জানতে পারব যে আপনারা কষ্টের মধ্যে আছেন, আমি খবর তো পাব। কিন্তু আমি আপনাদের সহায়তা করতে পারব না। কারণ দিল্লিতে যে সরকার আছে এবং পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার আছে, তারা এই আয়ুষ্মান প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে না।’
'অসুস্থ লোকেদের সঙ্গে জুলুম'
তৃণমূল এবং আপ সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন, 'নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নিজেদের রাজ্যেরই অসুস্থ লোকেদের সঙ্গে জুলুম করার এই যে প্রবৃত্তি আছে, তা মনুষ্যত্বের কোনও মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে পারে না। আর সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দেশবাসীর তো সেবা করতে পারছি আমি। কিন্তু দিল্লির বয়স্কদের সেবা করতে দিচ্ছে না রাজনৈতিক স্বার্থের দেওয়াল। সেই রাজনৈতিক স্বার্থের দেওয়াল আমায় পশ্চিমবঙ্গের বয়স্কদেরও সেবা করতে দিচ্ছে না।'
আয়ুষ্মানের থেকে স্বাস্থ্যসাথী ঢের ভালো, দাবি তৃণমূলের
এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের মস্তিষ্কপ্রসূত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু আছে। তৃণমূলের দাবি, ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’-র থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ঢের ভালো। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’-র আওতায় মাত্র ৬০ শতাংশ অর্থ দেয় কেন্দ্র। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে সহজে হাসপাতালে ভরতি হওয়া যায়। বাড়তি কোনও ঝক্কি পোহাতে হয় না বলে বরাবর দাবি করে এসেছে তৃণমূল।