অত্যাধিক দাম, আগের তুলনায় পিছিয়ে পড়া প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়ে অ্যাপেলকে রোস্ট করা হতেই পারে। কিন্তু বিক্রির নিরিখে এখনও অনেকের থেকেই এগিয়ে সংস্থা। এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে রেকর্ড ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেভেনিউ হয়েছে সংস্থার।
অ্যাপেল জানিয়েছে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই বেড়েছে তাদের ব্যবসা। মেক্সিকো, ব্রাজিল, চিলি এবং তুরস্কের মতো স্থানে, যেখানে আগে অ্যাপেলের এতটা কদর ছিল না, সেখানেও বাড়ছে আইফোন বিক্রি।
বাদ নেই ভারতও। এটা ঠিকই যে ভারতে বিক্রি হওয়া গড়ে ১০০টি স্মার্টফোনের মধ্যে ২-৩টি আইফোন। তবে তা সত্ত্বেও মনে রাখতে হবে, প্রিমিয়াম ফোন, অর্থাত্ ৪০-৫০ হাজার টাকার বেশি স্মার্টফোনের মার্কেটে এখনও এগিয়ে অ্যাপেল। সেখানে অন্যান্য বহু ফোন এলেও সেই প্রিমিয়াম ফোনের মার্কেটের প্রায় অর্ধেকটা অ্যাপেলেরই দখলে।
সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে নতুন আইফোন 12-এর তুলনায় একটু পুরনো মডেলের বিক্রি বেশি। যেমন আইফোন 11, xr ইত্যাদির চাহিদা বেশি। কারণ নতুন মডেল আসার পর এগুলির দাম কিছুটা হ্রাস পায়।
আগের অর্থবর্ষে এই একই সময়পর্বের তুলনায় প্রায় ৩৬% আয় বেড়েছে অ্যাপেলের। প্রায় ৫% বেড়েছে রপ্তানি। অর্থাত্ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যবসা, চাহিদা বেড়েছে অ্যাপেলের।
তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, গত বছর জুনে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের সময়ে করোনা পরিস্থিতি তুঙ্গে ছিল। বিশ্বজুড়ে ছিল লকডাউনের কড়াকড়ি। ফল গত বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক।