চলতি এপ্রিল মাসেই পিকে পৌঁছতে পারে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ। আর সেই সময়ে দিনে প্রায় ৫ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। পাল্লা দিয়ে বাড়বে প্রাণহানিও। দিনে মৃত্যু সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৩,০০০। বুধবার এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে এমনই আশঙ্কার কথা জানাবেন গবেষক।
ইউনিভার্সিটি অফ মিচিগানের এপিডেমলজির অধ্যাপক ভ্রমর মুখোপাধ্যায় এমন সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি বলেন, 'এখনও এত বেশি সংক্রমণের রিপোর্ট দেখলে খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের এক বছরের সমস্ত চেষ্টা বিফল হয়েছে।'
আগামী চার সপ্তাহ ভারতের জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে দাবি তাঁর। তাঁর মতে, এপ্রিল মাসটিই সবচেয়ে নিষ্ঠুর হতে চলেছে। 'করোনা সংক্রমণ নির্ধারক মডেলগুলি দিয়ে হিসাব করে দেখা হয়েছে। বেশিরভাগ গণনা অনুযায়ী দৈনিক প্রায় ৫ লাখে পৌঁছতে পারে সংক্রমণ,' আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
হাসপাতালে দিনে ২৫,০০০ করোনা আক্রান্ত ভরতি হবেন। সেই সঙ্গে বাড়বে মৃত্যুও। দিনে প্রায় ৩,০০০ মানুষ প্রাণ হারাবেন করোনায়। বুধবার এই আশঙ্কার কথাও বলেন অধ্যাপক। 'এই সংখ্যাগুলি খুবই উদ্বেগের। সঠিক নীতি, জনস্বাস্থ্য দফতর ও জনসাধারণের সহযোগিতায় এই সম্ভাবনাগুলি মিথ্যা হয়ে যাক, আমি এই কামনাই করি,' বলেন তিনি।
তবে, করোনা দ্রুত শিখরে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত হারে হ্রাসও পেতে পারে। এমন কথাও জানিয়েছেন ওই গবেষক। তিনি বলেন, 'আফ্রিকা, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলিতে সেকেন্ড ওয়েভে খুব দ্রুত সংক্রমণ বেড়েছিল। কিন্তু একইরকম দ্রুত হারে তা হ্রাসও পেয়েছিল। আমরা যে মডেলে হিসাব করছি, সেই অনুযায়ী এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের শুরু নাগাদ মহারাষ্ট্রে এক ধাক্কায় সংক্রমণ কমে যাবে। এমনটাই যাতে হয়, সেই কামনা করি।'