করোনাভাইরাসের বিপদ রুখতে পঞ্জাব, রাজস্থান, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গের পর লকডাউন ঘোষণা করল দিল্লি সরকার। রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবার ভোর থেকে শুরু হবে লকডাউন। চলবে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে জরুরি পরিষেবা ছাড়া দিল্লিতে যাবতীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সরকারি ও বেসরকারি অফিস – কাছারি দোকানপাট। বন্ধ থাকবে বাস, ট্যাক্সি, অটো রিক্স ও ট্রেন।
তবে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে জরুরি পরিষেবা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসকে। ফলে সেখানে খোলা থাকবে মুদি ও ওষুধের দোকান। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় বেরোতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাস্তায় বেরোলে কোনও প্রমাণ দেখাতে হবে না পুলিশ বা প্রশাসনকে।
রবিবার সকালে দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, প্রয়োজনে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্যগুলি। এর পরই একে একে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে পঞ্জাব ও রাজস্থান। তার পর ওড়িশা। বিকেলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ। সন্ধ্যায় দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, ‘লকডাউন ছাড়া করোনাভাইরাস রোখার আর কোনও উপায় নেই। তবে জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালীন দিল্লির সীমান্ত সিল করে দেওয়া হবে। ফলে উত্তর প্রদেশ বা হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে ঢুকতে পারবে না কোনও গাড়ি। তবে চালু থাকবে দিল্লি বিমানবন্দরের অন্তর্দেশিয় বিমানচলাচল।