গুজরাটের কচ্ছ উপসাগর এবং উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় গোমতী নদী সহ সারা দেশে বেশ কয়েকটি স্থানে খনন কাজের অনুমোদন দিল ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। এই নিয়ে একটি দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করেছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। তালিকায় হারওয়ানের (শ্রীনগর থেকে ১৯ কিমি দূরে অবস্থিত একটা গ্রাম) আশেপাশের এলাকা এবং শ্রীনগরের জাবারওয়ান পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই তালিকায়। প্রসঙ্গত, হারওয়ানে অবস্থিত প্রাচীন মঠটি বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হয়। এখানেই কুষাণ সম্রাট কনিষ্কের নির্দেশে প্রথম বা দ্বিতীয় শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মের মহাযান বিদ্যালয়ের চতুর্থ বৌদ্ধ পরিষদ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রকাশিত তালিকায় মোট ৩১টি জায়গার নাম রয়েছে। সেই তালিকায় থাকা দিল্লির পুরোনো কেল্লা এবং হরিয়ানার রাখিগড়ি, যেখানে ইতিমধ্যেই নতুন করে খনন শুরু হয়েছে। এদিকে তালিকায় থাকা অন্যান্য স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার বিবি কা মাকবারা, হরিয়ানার রাখিগড়ী জেলা, সেন্ট অগাস্টিন চার্চ, ওল্ড গোয়া এবং গুজরাটের কচ্ছ উপসাগর বরাবর। এদিকে তালিকায় এমন ১৬টি জায়গা রয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার খনন কাডজ চালাবে। সেই তালিকায় রয়েছে অসমের প্রতিমা গড় এবং তার আশেপাশের এলাকা এবং তামিলনাড়ুর ভেম্বাকোট্টাই। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে স্থানগুলি খনন করবে তার মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা জেলার রুদৌলি তহসিলের গোমতী নদীর তীর, বারাণসীর মহাবন এবং কচ্ছ জেলা।
এদিকে খনন চালিয়ে নতুন করে ইতিহাসকে খুঁজে পাওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করলেও কয়েক মাস আগেই এক ভয়াবহ তথ্য সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি। প্রায় এক মাস আগে মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ৫০টি ঐতিহাসিক স্মারক পুরোপুরি হারিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি স্মারকের অবলুপ্তি হয়েছে নগরায়নের জেরে, বাকি ১২টি স্মারক মিশে গিয়েছে জলাধারের জলে। ৫০টির মধ্যে সর্বোচ্চ স্মারক হারিয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। সেই রাজ্য যেকে অবলুপ্ত হয়েছে ১১টি স্মারক। তাছাড়া ২টি করে স্মারক 'হারিয়েছে' দিল্লি এবং হরিয়ানা থেকে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মুছে গিয়েছে ১টি ঐতিহাসিক স্মারক।