রেশন সিস্টেমের একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, একাধিক রাজ্য ভর্তুকিযুক্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য় রেশন সিস্টেমের মাধ্য়মে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে তবে সেই রেশন নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে অনেক সময় পৌঁছয় না। যাঁরা দারিদ্র সীমার নীচে রয়েছে এমন পরিবারের কাছে।
বিচারপতি সুর্যকান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ জানানো হয়েছে। আসলে একটা স্বতপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছিল। কোভিডের সময় পরিযায়ী শ্রমিকরা যে সমস্যার মধ্য়ে পড়েছিলেন সেই সংক্রান্ত মামলা।
সেই মামলায় অ্য়াডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ একটা ইস্যু তুলেছিলেন যে একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক তাদের জন্য় বরাদ্দ রেশনের সুবিধা পাননি।
সেক্ষেত্রে বিচারপতিদের বেঞ্চ এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে যাদের রেশনের সুবিধা পাওয়ার অধিকার নেই তারা রেশন কার্ডের অপব্যবহার করছেন।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিচারপতি সুর্যকান্ত জানিয়েছেন, আমাদের উদ্বেগ হল এই বেনিফিট সেটা প্রকৃত বিপিএল পরিবারের জন্য। কিন্তু সেটা কি তাদের হাতে চলে যাচ্ছে যাদের এটার ব্যাপারে অধিকার নেই? রেশন কার্ড এখন জনপ্রিয় কার্ড, রাজ্য খালি বলে দিচ্ছে যে আমরা এমন অনেক কার্ড ইস্যু করে দিয়েছি…কিছু রাজ্য রয়েছে যখন এই রেশন ব্যবস্থার উন্নতির কথা জানতে চাওয়া হচ্ছে তখন বলছে মাথাপিছু আয় বেড়ে গিয়েছে। আর যখন বিপিএলের কথা বলছি তখন বলছেন যে ৭৫ শতাংশ হল বিপিএল। কীভাবে এটা চেপে রাখা হচ্ছে? এই দ্বন্দ্বটা একেবারে মজ্জাগত। এটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে যাদের এটার অধিকার রয়েছে তাঁরা যেন এটা পান।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অ্য়াডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ই শ্রম পোর্টালে ৩০ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। তার মধ্য়ে ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে রেশন কার্ড নেই।
তিনি আদালতে বলেন, অনেক গরীব মানুষ রেশনের সুবিধার জন্য আবেদন করেননি কারণ তারা এটা পাবেন না এটা ধরে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গরীব মানুষরা লিখেছেন, আমরা রেশন তো পাবই না তাহলে কেন আবেদন করব? জনসংখ্য়ার ৮০ শতাংশ খুব খুব দরিদ্র। তাদের খাদ্য সুরক্ষা দরকার। কোর্ট জানিয়েছে, এটা একটা সত্যিকারের সমস্যা। গরীব মানুষ যাতে রেশন পান এটা নিশ্চিত করা দরকার।
বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, একটা রেশন কার্ড ইস্যু হলে তার মধ্য়ে রাজনীতির কোনও ব্যাপার থাকে না।
অ্যাডিশনার সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে ছিলেন, তিনি বলেন, প্রায় ৮১.৩৫ কোটি মানুষ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার আওতায় রয়েছেন। আরও ১১ কোটি অন্য একটি স্কিমের আওতায় রয়েছেন।