বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সিট পূরণ নিয়ে ভাবছেন? ব্যবসা! কেন্দ্রকে তোপ আদালতের

প্রসঙ্গত ৪১জন চিকিৎসক কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন। এদিকে কেন্দ্র জানিয়েছিল পরীক্ষা দু মাস পিছিয়ে দিয়ে ১০-১১ জানুয়ারি করা যেতে পারে।

NEET-SS পরীক্ষার প্যাটার্ন বদল নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা আদালতের (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

মেডিক্যাল সুপার স্পেশালিটি কোর্সের(NEET-SS) পরীক্ষার প্য়াটার্ন বদল নিয়ে এখনও অনড় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ল সরকার। দেশের শীর্ষ আদালত সরাসরি মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে এই পরীক্ষার প্য়াটার্নের বদলের বিষয়টি মনে হচ্ছে বেসরকারি মেডিক্যালের সিট পূরণ যাতে হয় সেটা ভেবেই করা হচ্ছে। যে সিট প্রতি বছর ফাঁকা থাকে। এদিকে এর আগেই কেন্দ্র জানিয়েছিল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য় যাতে সময় পান পরীক্ষার্থীরা সেকারনে পরীক্ষার সময়সূচি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষার ধরন বদলের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

 

এদিকে এদিন বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিভি নগরত্নের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপনাদের হলফনামা পড়েছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শূণ্য়পদ পূরণের জন্যই মনে হচ্ছে আপনাদের এত তৎপরতা। কিন্তু যে শূণ্য়পদগুলি বলছেন সেগুলি তো সরকারি কলেজের নয়। এতেই বোঝা যাচ্ছে পুরো মেডিক্যাল শিক্ষাটাই ব্যাবসায় পরিণত হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে নজর দিন। না হলে আইনের হাত কিন্তু খুব লম্বা। 

প্রসঙ্গত ৪১জন চিকিৎসক কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন। এদিকে কেন্দ্র জানিয়েছিল পরীক্ষা দু মাস পিছিয়ে দিয়ে ১০-১১ জানুয়ারি করা যেতে পারে। নতুন প্য়াটার্নে ১০০ শতাংশ প্রশ্ন বোর্ড স্পেশালিটি কোর্স থেকে আসবে। এদিকে আসন শূণ্য থাকছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়। এরপরই আদালত জানিয়েছে, আগামী বছর প্য়াটার্নের পরিবর্তন করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত না। বলুন কতগুলো আসন সরকারি কলেজের জন্য ফাঁকা রয়েছে? সরকারি ও বেসরকারি কলেজে কোথায় কত সিট ফাঁকা আছে সেটা জানাবেন।