একদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যখন অসমের মাটিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অসম আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনাকে উস্কে দিলেন, তখন সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।দোষারোপ–পাল্টা দোষারোপের পালায় সরগরম হয়ে উঠল অসমের রাজনীতি।
বোরোল্যান্ডের চিরাঙ জেলায় বিজনিতে সভা করতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।বিজনির সভা থেকেই পুরনো স্মৃতি উস্কে দিয়ে অমিত শাহ বলেন,‘কংগ্রেসের আমলে অসম আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল।যারা গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, তাদের ভোট চাওয়ার কোনও অধিকার নেই।এখন কংগ্রেস আবার বদরুদ্দিন আজমলের দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।কিন্তু এভাবে বদরুদ্দিনের দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কী অনুপ্রবেশ আটকানো যাবে?’ একই সঙ্গে শাহ দাবি করেন, গত ৫ বছর আগে সন্ত্রাসমুক্ত অসম করার কথা বলেছিলাম।আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, করেছি।উন্নয়ন করেছি।তাই এবার ভোট চাইতে এসেছি।একইসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে শাহ বলেন, রাহুল গান্ধী তো অসমে আসেন পিকনিক করতে।রাহুলের সঙ্গী বদরুদ্দিন আজমল কী অসমের মুখ হবেন। তিনি কী ভুপেন হাজারিকা, শ্রীমন্ত সুখদেবের বিকল্প হয়ে উঠতে পারবেন?কংগ্রেস চেষ্টা করতে পারেন।কিন্তু লাভের লাভ কিছু হবে না।
এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও কিন্তু এই গুলি চালানো নিয়েই বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে সেটা পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে নয়।সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর যেভাবে গুলি চালানো হয়েছে, তার নিন্দা করে রাহুল এদিন জানান, দীপাঞ্জল কাজ চেয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার দীপাঞ্জল যে ধরনের কাজের যোগ্য, সেই কাজ দিতে পারেনি।দীপাঞ্জল শান্তিপূর্ণভাবেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ করেছিল।কিন্ত তাঁকে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে।তাই আমরা ঠিক করেছি, ক্ষমতায় এলে দীপা্ঞ্জল যা চেয়েছিল তাই হবে।অসমে কোনও অবস্থাতেই সিএএ চালু করতে দেব না।উল্লেখ্য, অসমে এখনও সিএএ চালু হয়নি।বিজেপি সরকারও তাদের ইস্তাহারে সিএএ চালু করা নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেনি।যদিও অসমে এনআরসির প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেছে, যা নিয়ে অনেক ত্রুটিও ধরা পড়েছে।এরফলে যথেষ্টউ অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।