অল্পের জন্য রক্ষা। আদালতের নির্দেশের অবমাননার অভিযোগ থেকে রেহাই পেল সেনা। সূত্রের খবর, ৭২জন মহিলা আধিকারিককে পার্মানেন্ট কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করার অভিযোগ উঠেছিল সেনার বিরুদ্ধে। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতে দীর্ঘ শুনানির পর যাবতীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে সেনা। আসলে ৭২জন মহিলা আধিকারিকের মধ্যে ৩৬জন শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন। জাস্টিস ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় ও জাস্টিস এএস বোপান্নার বেঞ্চে শুনানি হয়ে এদিন। গত ২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সেনা অমান্য করছে বলে পিটিশন করা হয়েছিল।
এদিকে শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে মিলিটারি সেক্রেটারি হলফনামায় জানিয়েছিলেন ৩৬জনের মধ্যে ২১জনকে পার্মানেন্ট কমিশন দেওয়া হয়েছে। একজন আধিকারিকের বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। বাকি ১৪জন রিজেক্টেড লিস্টে আছে। এর মধ্যে তিনজন মেডিকালি আনফিট। এদিকে আদালতের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, আর্মি তাঁদের মধ্যে সুপ্রিম, সাংবিধানিক আদালতও তাঁর নিজস্ব আওতার মধ্যে সুপ্রিম। আপনারাই সমস্য়া তৈরি করছেন। এরপরই ওপরমহলের সঙ্গে আলোচনার জন্য একঘণ্টার সময় চান অ্যাডভোকেট আর বালাসুভ্রামনিয়ান। এদিকে আদালত ততক্ষণে জানিয়ে দিয়েছে, আপনারা আমাদের রায়ের বাইরে যেতে পারেন না। এমনকী সেই রায়ের রিভিউ করার জন্যও বলতে পারেন না।
এরপরই বিকালে সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ১১জন আধিকারিককে পিসি দেওয়া হবে ১০দিনের মধ্যে। পাশাপাশি যাঁরা আদালতে আসেননি তাঁদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। এরপরই সেনার এই স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে মান্যতা দিয়েছে।পার্মানেন্ট কমিশনের আবেদন মঞ্জুর করার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।