করোনা পরিস্থিতিতে সেনার ভূমিকা পর্যালোচনার লক্ষ্যে সেনা প্রধান এমএম নারভানের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সেই বৈঠকেই সেনা প্রধান জানান, জনসাধারণের স্বার্থে একাধিক হাসপাতালের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।
সেনা প্রধান এদিন জানান, পঞ্জাবের মহালিতে দুই দিন আগেই একটি ১০০ শয্যার হাসপাতাল খুলে দিয়েছে সেনা। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের অনুরোধে এই হাসপাতাল খোলা হয় বলে জানান তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জেনারেল নারভানে বলেন, 'জরুরি অবস্থার প্রেক্ষিতে নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনী হাসপাতাল চালু করছে।'
এদিকে দিল্লি ক্যান্টমেন্টের বেস হাসপাতালকে কোভিড সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই হাসপাতালে ৩৪০টি শয্যা ছিল। এর মধ্যে ২৫০টিতে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই হাসপাতালে আরও ৬৫০টি শয্যা যোগ করা হবে। সেগুলির মধ্যে ৪৫০টিতে অক্সিজেন উপলব্ধ থাকবে। এছাড়া আরও সেনা হাসপাতালে সাধারণ নাগরিকরা করোনা চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন। উল্লেখ্য, সেনার ৯৭টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সেনা প্রধান জানান যে, কোভিড অতিমারীর এই সংকটপূর্ণ সময়ে সেনায় কর্মরত চিকিত্সকরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা চিকিত্সকদেরও করোনা মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে বলে জানান তিনি। এদিকে শুধু সেনা নয়, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার চিকিৎসকরাও সেনার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন। এছাড়া অক্সিজেন পরিবহণের ক্ষেত্রেও সেনা বড় ভূমিকা পালন করছে বলে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানানো হয় এদিন।