পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা হোক, কিংবা জম্মু-কাশ্মীর বা দেশের অন্য কোনও রাজ্য়ের ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত, অথবা মণিপুর কিংবা উত্তপূর্বের সীমান্ত এলাকা - দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বত্রই সমান সতর্কতা ও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার আয়োজিত এক প্রেস বিবৃতিতে একথা বললেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই প্রথম কোনও প্রেস বিবৃতি দিলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গেই এদিন ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন সেনাপ্রধান। যা থেকে স্পষ্ট, আজও পাকিস্তান ভারতের সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য তৈরি হয়ে রয়েছে।
তিনি জানান, 'হিংসা যা কিছু ঘটছে, তা আসলে ঘটানো হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার থেকে। আর সেই এপিসেন্টার হল - পাকিস্তান। ভারত যদি এদিকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি না রাখে, তাহলে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ চলতেই থাকবে।'
সেনাপ্রধান একথা বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন, জঙ্গিরা যতই অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী সর্বক্ষণই যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা যেভাবে সেনা মোতায়েন করি, তা অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ এবং অত্যাধুনিক। আমরা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তৈরি।'
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রস্তুত ভারতীয় সেনা:
পূর্ব সীমান্ত নিয়ে কথা বলার সময় জেনারেল দ্বিবেদী জানান, সেখানকার 'পরিস্থিতি সংবেদনশীল হলেও স্থিতিশীল'। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন পূর্ব লাদাখের কৌশলী স্থানগুলি, যেমন - ডেপসাং ও দেমচকে দীর্ঘ সময় পর টহলদারি শুরু হয়েছে।
মণিপুরের পরিস্থিতি:
মণিপুর সম্পর্কে সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তাবাহিনীগুলি সরকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। কিন্তু, তারপরও মাঝেমধ্য়েই অশান্তির ঘটনা ঘটছে। আমরা স্থায়ীভাবে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছি।’
ভারত-পাক সীমান্তের চ্য়ালেঞ্জ:
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের পরিস্থিতি ব্যাখ্য়া করতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, 'হিংসা যা কিছু ঘটছে, তা আসলে ঘটানো হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার থেকে। আর সেই এপিসেন্টার হল - পাকিস্তান। ভারত যদি এদিকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি না রাখে, তাহলে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ চলতেই থাকবে।'
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে ভারতীয় সেনা মোট যত জন সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করেছিল, তাদের মধ্য়ে ৬০ শতাংশই ছিল পাকিস্তানের।
সেনাপ্রধান বলেন, 'এমনকী, আজও জম্মু-কাশ্মীরে যত জঙ্গি ঘাপটি মেরে রয়েছে, তাদের মধ্য়ে ৮০ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছে।'