স্বামী বায়ুসেনা অফিসার, স্ত্রী ভারতীয় সেনার ক্যাপ্টেন। ছিলেন দুটি ভিন্ন শহরে। দূরত্ব ছিল ২৫০ কিলোমিটারের। আর তাঁরা দুজনেই একই দিনে আত্মহত্যা করেছেন বৃহস্পতিবার। বায়ুসেনার ফ্লাইট লেফ্টন্যান্ট দীনদয়াল উপাধ্যায় এদিন আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিন। একই দিনে তাঁর স্ত্রী রেনু তানওয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার হয় দিল্লি থেকে। দেশের বীর দুই সৈনিকের এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁদের শুভানুধ্যায়ী থেকে পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, কী ঘটেছিল যে, এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা?
৩২ বছর বয়সী দীনদয়াল দীপ ছিলেন বায়ুসেনার ফ্লাইং লেফ্টন্যান্ট। তিনি মোতায়েন ছিলেন আগ্রার খেরিয়া এয়ার ফোর্স স্টেশনে, তাঁর স্ত্রী ক্যাপ্টেন রেনু তানওয়ার মোতায়েন ছিলেন ওই শহরেরই সেনা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে দীনদয়াল আত্মঘাতী হন আগ্রায়। তাঁর স্ত্রী ক্যাপ্টেন রেনু তানওয়ার আত্মঘাতী হন দিল্লিতে। এই সেনা দম্পতির মৃত্যুতে উঠছে নানান প্রশ্ন। রিপোর্ট বলছে, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের দেহ আগ্রায় সেনা হেডকোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছে। তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। তাঁর সহকর্মীরাই গিয়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে, জানা গিয়েছে, ফ্লাইং লেফ্টন্যান্ট দীনদয়ালের স্ত্রী ক্যাপ্টেন রেনু তানওয়ার তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন দিল্লিতে। আর সেখানেই তাঁর দেহ দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে অফিসার্স মেসে উদ্ধার হয়।
এদিকে এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশ একটি নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে ওই 'ক্যাপ্টেন' পদমর্যাদার সেনা কর্মী রেনু তানওয়ার জানিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছা, তাঁকে তাঁর স্বামীর সঙ্গেই যেন শেষযাত্রায় দাহ করা হয়। তবে আগ্রা থেকে ওই ফ্লাইং লেফ্টন্যান্ট বায়ুসেনা কর্মীর কোয়ার্টার থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। আগ্রার ডেপুটি ডিসিপি জানিয়েছেন, তাঁকে বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে। পরে অফিসাররা জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়েন। উদ্ধার করেন দীপের দেহ। জানা গিয়েছে, বিহারের নালন্দার বাসিন্দা ছিলেন দীপ। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগের রাতেও সহকর্মীদের সঙ্গে ডিনারে গিয়েছিলেন দীপ। সেখানে তিনি মশকরাও করেছেন সহকর্মীদের সঙ্গে। সেই রাতে তিনি হাসিখুশিই ছিলেন। তবে পরে কী হয়েছে, তা নিয়ে রয়ে গিয়েছে ধন্দ!