২০২১ সালের সেনা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে নতুন ড্রোনের ‘সোয়ার্মিং কেপেবিলিটি’ অর্থাৎ জোট বাঁধার ক্ষমতা প্রদর্শন করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করল ৭৫টি স্থানীয় ডিজাইন ও প্রযুক্তিতে তৈরি ৭৫টি ড্রোন।
এ দিন এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, ‘কুচকাওয়াজে ড্রোনগুলির আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ভিত্তিক আক্রমণাত্মক অভিযান ও ঘনিষ্ঠ সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করা হয়।’
ঝাঁক বেঁধে চলা ড্রোন বাহিনী ট্যাঙ্ক, পদাতিক বাহিনীর সংঘর্ষ বাহন, অস্ত্রসস্ত্রের ভাণ্ডার, জ্বালানি ঘাঁটি এবং সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংসের মতো বিভিন্ন রকম সামরিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে কাজে লাগানো যায় বলে জানিয়েছেন সেনা আধিকারিকরা।
তাঁদের মতে, সেনাবাহিনীর ঝাঁক বেঁধে চলা ড্রোন বাহিনী নির্মাণের প্রক্রিয়া এই মুহূর্তে চলেছে। তবে দুর্যোগে বিভিন্ন উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বণ্টন অভিযানে সেগুলির কর্মদক্ষতা ইতিমধ্যে পরীক্ষিত। বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ নিউস্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিস-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রযুক্তি নির্মাণ করছে সেনা।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আমন আনন্দ জানিয়েছেন, ‘এই প্রদর্শনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ও অভিনব প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার অবিচল সংকল্পকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর জেরে এযাবৎ প্রচলিত লোকবল কেন্দ্রিক পরিচিতি ছেড়ে প্রযুক্তি নির্ভর শক্তি হিসেবে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর পরিচিতিতে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।’
এই স্বয়ংক্রিয় ড্রোনগুলি শত্রু এলাকার ৫০ কিমি ভিতরে পর্যন্ত উড়ে তীব্র অভিঘাত সম্পন্ন অস্ত্রের সাহায্যে নিশানা ভেদ করতে সক্ষম। কামিকাজে অভিযানে এই ড্রোনগুলি ১০০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারে।
বিবৃতি অনুযায়ী, ‘বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং রোবোটিক্স-এর ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। এরই একটি হল এআই আক্রমণাত্মক ড্রোন অপারেশন, যা এক ভারতীয় স্টার্টআপের সহায়তায় তৈরি হয়েছে।’