আমার অসুস্থ বাবার যত্ন নিয়ে এই সেনাবাহিনী। সেই সেনাতে কাজ করতে পেরে আমি ধন্য। সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিন বছর আগে লিভার ক্যানসারে মারা গিয়েছিলেন বাবা। আর তাঁরই সন্তান অঙ্কিত চৌধুরী যোগ দিলেন সেনাতে। ন্যাশানাল ডিফেন্স আকাদেমিতে প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেলে ভূষিত সেই সন্তান। কার্যত সেনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ তিনি। সেনাতে যোগ দিয়ে গর্বিত তিনি। তিনি জানিয়েছেন এই সেনাই আমার অসুস্থ বাবার পাশে ছিল সবসময়। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল। সেই সেনাতে যোগ দিতে পেরে তিনি অত্যন্ত গর্বিত।
অঙ্কিত জেইই মেইন এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাস করেছিলেন অঙ্কিত। কিন্তু জেইই অ্যাডভান্সড এক্সামিনেশন ও সার্ভিস সিলেকশন বোর্ডের ইন্টারভিউ একই সময়ে ছিল। এরপর অঙ্কিত বেছে নেন এনডিএ।
তিনি বলেন, আমি জেইই মেইন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে এনডিএ পরীক্ষা দিয়েছিলাম। কিন্তু জেইই পরীক্ষা ও এসএসবি ইন্টারভিউ একই দিনে পড়ে যায়। এরপর আমি ভেতরের আবেগকে অনুভব করি। আমি আইআইটির স্বপ্নকে ছেড়ে এনডিএ তে চলে আসি।
অঙ্কিত টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, আমি আর্মিতে যোগ দিয়েছি। কারণ এই সেনা বাহিনীই আমার বাবার অবসরের পরে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল পরিষেবা দিয়েছিল। এক্স সার্ভিসমেন কন্ট্রিবিউটরি হেলথ স্কিমের মাধ্যমে এটা দেওয়া হয়েছিল।
অঙ্কিত জানিয়েছেন আমার বাবা সুলতান সিং ১১ রাজপুতানা রাইফেলসে ছিলেন। ১৭ বছর সেখানে ছিলেন তিনি। আমি দেখেছি আর্মি কীভাবে অসুস্থ বাবার খেয়াল রেখেছিল। আমার মনে হয় বাবা আজ খুশি হবেন, বাবা আজ গর্বিত হবেন।
অঙ্কিতের মা সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি একলা সন্তানদের মানুষ করেছেন। তাঁরা দুজনেই আর কৃতী। তাঁর অপর সন্তান এইমসে ডাক্তারি পড়ছে। রাজস্থানের শিকর জেলার বাসিন্দা অঙ্কিত। সেন্ট মেরি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল থেকে তিনি পাশ করেছিলেন। অঙ্কিত বলেন, ১১জন ক্য়াডেটের মধ্যে প্যারেডে কমান্ড দেওয়ার জন্য আমাকে বাছা হয়েছিল। আমি খুব খুশি।