প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্য সমাবেশ বাড়াচ্ছে চিন। এই অবস্থায় সতর্ক থাকছে ভারতও। তিন বাহিনীই তৎপর রয়েছে। নাম গোপন রাখার শর্তে একথাই জানিয়েছেন সামরিক বাহিনীর তিন আধিকারিক।
তাঁরা জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন স্থানে সেনার অবস্থান শক্তিশালী করা হচ্ছে। সেখানে বাড়তি সেনা পাঠানো হয়েছে। যে কোনও সম্ভাব্য ঘটনার জন্য যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে রাখছে ভারতীয় বায়ুুসেনা। সতর্কতা জারি হয়েছে নৌবাহিনীতেও। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে কোনও কাজের জন্য অনেক যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তবে ভারত অভাবনীয় কোনও পদক্ষেপের পথে হাঁটবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সুরক্ষিত রাখতে এবং জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে সঠিক সময়ে ভারত মেপে পদক্ষেপ নিতে পারে। এক আধিকারিক বলেন, ‘আশা করছি, (চিনের) সুবুদ্ধি হবে। আমাদের একাধিক বিকল্প আছে এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সেগুলি ব্যবহার করতে আমরা দ্বিধাবোধ করব না।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, 'ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্ররোচিত করলে যে কোনও পরিস্থিতিতে যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আছে ভারতের। আমাদের বীর শহিদ জওয়ানদের প্রসঙ্গে বলছি, দেশ গর্বিত হবে যে ওঁরা (বিপক্ষকে) মারতে মারতে শহিদ হয়েছেন।’ তবে তিনি চিনের নাম নেননি।
এদিকে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনিতেও লাদাখে এটা কাজ করার মরশুম। তাই জোরকদমে সেই কাজ এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য গালওয়ান উপত্যকায় সেরকমই একটি রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ভারত এবং চিনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। যে রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে লাদাখের প্রত্যন্ত এলাকায় মোতায়েন ভারতীয় জওয়ানদের কাছে সহজেই প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যাবে।
পাশাপাশি ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট-সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একপ্রস্থ বৈঠক করে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। কীভাবে রাস্তা নির্মাণের কাজে আরও গতি আনা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।