ভারতীয় সেনাবাহিনী চিনা সীমান্তে পিএলএ-র হুমকি চিহ্নিত করতে একটি আধুনিক 'লো লেভেল' হালকা ওজনের রাডার যোগ করতে চাইছে নিজেদের অস্ত্রাগারে। ভারত-চিন সীমান্তের অনেক স্থানেই পাহাড়ি ভূখণ্ডের কারণে নজরদারি সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই এলাকায় শত্রুর বিমান, হেলিকপ্টার এবং কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়া ড্রোন সহজেই ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকতে পারে। সেই হুমকিকে প্রতিহত করতেই নয়া রাডার যোগ করতে চাইছে সেনা।
মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের নতুন তালিকায় রয়েছে রাডার। সেনাবাহিনী তাই ভারতীয় শিল্পের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই রাডার নিজেদের অস্ত্রাগারে যোগ করতে চাইছে। সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে এই সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেন। এই তালিকায় রয়েছে নজরদারি এবং সশস্ত্র ড্রোন, কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম, পদাতিক অস্ত্র প্রশিক্ষণ সিমুলেটর, রোবোটিক নজরদারি প্ল্যাটফর্ম, মোবাইল হেলিপ্যাড এবং বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ।
সেনাবাহিনী একটি 3D সক্রিয় ইলেকট্রনিকভাবে স্ক্যান করা অ্যারে রাডার চায়। এর পরিসীমা ৫০ কিমি হতে হবে। শত্রুপক্ষের বিমানকে যাতে দূর থেকেই চিহ্নিত করা যায়। স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য, সরকার ২০৯টি প্রতিরক্ষা আইটেমের দুটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই তালিকাভুক্ত সরঞ্জামগুলির আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে এই ধরনের রাডার (LLLWR)।
চিনের সাথে উত্তর এবং পূর্ব সীমান্তের জন্য রাডার প্রয়োজন। সেনাবাহিনী উভয় সেক্টরে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত ও চিন বিগত ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখে সীমান্ত বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেও অসফল। উত্তেজনা নিরসনের জন্য চলমান সামরিক আলোচনায় কোনও বড় অগ্রগতি হয়নি। এই আবহে সীমান্ত রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে সেনা।