বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বেলগাম থেকে মরাঠি ভাষা ও সংস্কৃতি মুছে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে কর্নাটক সরকার। শুক্রবার শিব সেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় প্রকাশিত নিবন্ধে এমনই দাবি করা হয়েছে।
পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে ওই দিন লেখা হয়েছে যে, রিপাবলিক টিভি চ্যানেলের সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার হলেও বেলগামের মরাঠি ভাইয়েদের যন্ত্রণা ও রক্তক্ষয় দেখেও দেখছে না সুপ্রিম কোর্ট।
সামনা-র সম্পাদকীয়তে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টে সীমান্ত সংক্রান্ত মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। এ দিকে অর্ণব ও কঙ্গনার মতো ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা হচ্ছে, কিন্তু মরাঠি ভাইয়েদের ক্ষোভ ও রক্তপাত কি নজরে পড়ছে না সুপ্রিম কোর্টের? সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীনই আবার বেলগামকে দ্বিতীয় রাজধানীর মর্যাদা দিয়ে দিল কর্নাটক সরকার এবং সেখানে বিধান ভবনও নির্মান করা হল। এই পদক্ষেপ কি আদালত অবমাননা নয়?’
শুধু তাই নয়, সম্পাদকীয় নিবন্ধে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সওয়াদিকে, যিনি সম্প্রতি মুম্বই নগরীকে কেন্দ্রের দ্বারা শাসনের আবেদন জানিয়েছেন। সওয়াদির মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানোর জন্য মহারাষ্ট্র বিজেপি-র নেতাদেরও একহাত নেওয়া হয়েছেশিব সেনার মুখপত্রের নিবন্ধে।
লেখা হয়েছে, মুম্বইকে মহারাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যে ১০৫ জন শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের অপমান করেছেন সওয়াদি। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘সওয়াদি বিজেপি নেতা। তা হলে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বকে তাঁর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। তাঁরা কি কমপক্ষে এই মন্তব্যের নিন্দা করবেন?’
গত তিন দিন ধরে সীমান্ত নিয়ে মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে পৌঁছেছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দাবি করেছেন, মতান্তরের মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত দুই রাজ্যের মধ্যে বিতর্কিত এলাকাগুলি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হোক। গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে ফের নথিপত্র পেশ করে বেলগামকে ওই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।