কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক চরমে উঠতেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ভারতের মৌলিক মানবাধিকার খণ্ডন ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন। এক টুইটে তিনি, মহিলাদের পড়াশোনার অধিকার কেড়ে নেওয়া সম্পর্কে নিশানায় রাখেন ভারতকে। এরপর বুধবার এক সভামঞ্চ থেকে তার জবাব দিয়েছেন এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। জনসভার মঞ্চ থেকে কার্যত পাকিস্তানে মালালা ইউসুফজাইর ওপর নৃশংস হামলার প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের বুকে নারী শিক্ষা নিয়ে কী পরিস্থিতি তা স্মরণ করিয়ে দেন এআইএমআইএম নেতা।
উত্তরপ্রদেশের এক জনসভায় আসাদউদ্দিন বলেন, 'মহিলাদের শিক্ষা নিয়ে পাকিস্তানের পাঠ পড়ানোর দরকার নেই।' জনসভার মঞ্চ থেকে আসাদউদ্দিন বলেন, 'মালালার উপর হামলা পাকিস্তানে হয়েছে... পাকিস্তানের সংবিধানের নিয়মে কোনও অমুসলিম সেখানে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না। আমরা পাকিস্তানিদের বলব, এদিকে দেখোনা..ওদিকেই দেখো...তুমি তোমাদের বালুচিদের সমস্যা... আর কী কী ঝগড়া রয়েছে সেগুলো দেখো...এই দেশ আমার, তোমাদের নয়। আমাদের ঘরের মামলা। আপনারা এতে নাক গলাবেন না।' ওয়াইসি বলেন, পাকিস্তান নিজের দেশের মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, তাদের আর ভারতকে জ্ঞান দেওয়ার দরকার নেই।
এর আগে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি একটি টুইটে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের একটি কলেজে, এক হিজাব পরিহিতা মহিলাকে কেন্দ্র করে 'জয় শ্রীরাম ধ্বনি' ওঠার ঘটনা নিয়ে টুইট করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নিজের টুইটে লেখেন, 'মুসলিম মহিলাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন। কাউকে এটা না দেওয়া আর তাঁকে হিজাব পরার জন্য সন্ত্রস্ত করা একেবারেই অত্যাচারী ঘটনা।...' শাহ মেহমুদ কুরেশির এই বক্তব্যের পরই আজ উঠে আসে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বার্তা।