পরপর দু'দিনে ভারতে প্রায় ২২,০০০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত সেরে উঠলেন। তারইমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আবার সংক্রমণের নয়া রেকর্ড তৈরি হল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৬,১৮৩। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় নয়া সংক্রমিতের সংখ্যা ১৫,৯৬৮। যা এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। ওই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৫ জনের। ফলে সবমিলিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,৪৭৬। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) রিপোর্ট উদ্ধৃত করে কেন্দ্র দাবি করেছে, প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে বিশ্বের যে দেশগুলিতে সর্বনিম্ন মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। বিশ্বের গড় যেখানে ৬.০৪, সেখানে ভারতে এক লাখ মানুষ পিছু মৃতের সংখ্যা এক।
নয়া আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থ করোনা রোগীর সংখ্যা অনেকটা স্বস্তি দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১০,৪৯৫ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটা ছিল ১০,৯৯৪ জন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে ২৫৮,৬৮৪ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অর্থাৎ সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৭ শতাংশ।
ভারতের অধিকাংশ করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর খরব মিলছে চার রাজ্য থেকে। সেগুলি হল - মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু এবং গুজরাত। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। সেই সময় ভারতের সবথেকে করোনা প্রভাবিত শহর মুম্বইয়ে সংক্রমিত হয়েছেন ৮২৪ জন। যা গত ৪১ দিনে দৈনিক করোনা আক্রান্তের নিরিখে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১৩ মে মায়ানগরীতে ৮০০ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।
দিল্লিতে আবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বাড়লেও গত কয়েকদিনে সেখানে সক্রিয় কেসের সংখ্যা কমেছে। 'হিন্দুস্তান টাইমস'-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দিল্লিতে সক্রিয় আক্রান্ত কমেছে ১,৩৬৩। যা আশার আলো দেখাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে।