এপার বাংলা। ওপার বাংলা। দুই দেশের মাঝে সীমান্তের কাঁটাতার। এতদিন তবু সেই দুই বাংলার মধ্য়ে একটা মৈত্রী ছিল। কিন্তু যত দিন গিয়েছে দেখা গিয়েছে সেই দুই বাংলার মধ্যে সেই আগের মতো মৈত্রী আর নেই। বাংলাদেশের বহু মানুষ ভারত বিদ্বেষী নানা কথা বলেন। তবে সেই তাঁরাই আবার ভারতে এসে প্রিয়জনের চিকিৎসা করান।
তবে সীমান্তে সদা সতর্ক বিএসএফ। ভারতের জাতীয় সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত তাঁরা। কড়া নজরদারি চলছে ২৪ ঘণ্টা। তবে বার বারই বিএসএফের মানবিক মুখ সামনে এসেছে। ফের দেখা গেল বিএসএফের সেই মানবিক মুখ।
বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে লেখা হয়েছে, মানবিকতার নিরিখে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গের বর্ডার আউটপোস্ট মুস্তাফাপুর উত্তর ২৪ পরগনার আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল যাতে ভারতীয় মৃত ভাইয়ের দেহ শেষবার দেখতে পান তাঁর বাংলাদেশি ভাই ও বোনেরা। সেই সঙ্গেই হ্যাসট্যাগ দিয়ে লেখা হয়েছে হিউম্য়ানিটি ফার্স্ট। মানবিকতা সবার আগে।
সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে দেহটি শায়িত রয়েছে। পাশেই বিএসএফ ও বিডিআর রয়েছে। নির্দিষ্ট পতাকা তুলে ধরা হয়েছে। পরিজনরাও রয়েছেন। কার্যত মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই এই সুযোগ দিয়েছে বিএসএফ।
তবে বিএসএফ এই ধরনের মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের গ্রামে। এদিকে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পরে গাঙ্গুলাই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বিএসএফকে জানায় গোটা বিষয়টি। এরপরই এনিয়ে উদ্যোগ নেয় বিএসএফ। আসলে ওই ব্যক্তির বোন থাকেন বাংলাদেশের গ্রামে। পঞ্চায়েত সদস্য বিএসএফকে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি বোন চান যাতে ভাইকে একবার শেষ দেখা দেখা যায়। এরপর বিএসএফ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে। মূলত যাতে ওই পরিজনদের জিরো লাইনে আনা যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য় বলা হয়। সেই মতো পরিজনরা আসেন জিরো লাইনে। অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় জিরো লাইনে। দেহ রাখা হয় জিরো লাইনে। এরপর বাংলাদেশের পরিজনরা আসেন সেখানে। তাঁরা শেষ দেখা দেখেন। আবেগে ভেসে যান তাঁরা। অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা নেয় বিএসএফ।
আসলে ওই ব্যক্তির বোন আগে ভারতেই থাকতেন। কিন্তু বাংলাদেশির সঙ্গে বিয়ে হয়ে তিনি ওপারে চলে গিয়েছেন। বাংলাদেশি বোনের দেখা শেষ হলে এরপর দেহ ফের গ্রামে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশি পরিজনরা সহ অনেকেই বিএসএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।