বড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস। দিল্লি থেকে গ্রেফতার দুই মহিলা সহ ৫জন। ধৃতদের মধ্যে দুজন বিদেশি মহিলাও রয়েছে। শুক্রবার দিল্লিতে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ। এরপরই সেখান থেকে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। সামনে এসেছে বড় প্রতারণা চক্রের অভিযোগ। ঠিক কীভাবে জাল ফেলা হয়েছিল এই প্রতারণার?
রাজারহাট কলিপার্কের বাসিন্দা শালিনী রায়। গত ১লা ডিসেম্বর বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি অভিযোগ জানান যে সোশ্য়াল মিডিয়া মারফৎ থেরেসা দেব ওঙ্গি নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। কথায় কথায় তিনি ভারতীয় শাড়়ি সম্পর্কে আগ্রহ দেখান। এরপর তিনি প্রচুর ভারতীয় শাড়ি কেনার কথা জানান। এদিকে অভিযুক্ত মহিলা শালিনীদেবীকে জানিয়েছিলেন, তিনি একটি উপহার পাঠাতে চান। সেই মতো উপহারের ছবি, ট্র্যাকিং আইডি পর্যন্ত দেন। এরপর কাস্টমস হাউস এজেন্ট হিসাবে অনিতা দাস নামে অপর এক মহিলার ফোন আসে শালিনী রায়ের কাছে। তাঁকে বলা হয় কাস্টমস ক্লিয়ারের জন্য ২৭ হাজার টারা ৫০০ টাকা দিতে হবে। সেই মতো টাকা দিয়ে দেন তিনি। তাকে ই-মেইলে রসিদও পাঠানো হয়। তবে এরপর ফের টাকা চাওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে। তখনই পুলিশের দ্বারস্থ হন শালিনী দেবী।
এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটা গোটা চক্র কাজ করছে এর পেছেন। কলকাতায় ছোট ব্যবসার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার আইপির মাধ্যমে পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান পায়।