গোটা দুনিয়াই আজ ডিজিটাল। অনলাইনে জমিয়ে প্রেমও চলছে। সেই প্রেমের বাঁধনে বাঁধা পড়েছিলেন এপার বাংলার প্রেমিক ও ওপার বাংলার প্রেমিকা। ফেসবুকেই তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ভিডিও কলে তাঁদের বিয়েও হয়। কিন্তু স্বামীকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার খাবাসপুরের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী টোনেশা বিশ্বাস। এদিকে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির জামালপুরের কাঁটাতার বিহীন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এদেশে এসে তিনি এদিক ওদিক ঘুরছিল। এনিয়ে বিএসএফের সন্দেহ হওয়াতে তাকে আটক করা হয়। এরপর তিনি বিএসএফের কাছে সব কিছু খুলে বলেন।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী মারা যাওয়ার পর টোনেশা একলা হয়ে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চন্দননগরের বাসিন্দা রাজীব নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এদিকে প্রেমিকার টানে বেশ কয়েকবার পাসপোর্ট নিয়ে রাজীব বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন। এদিকে টোনেশা অসুস্থ হয়ে পড়লে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসতে চান তিনি। কিন্তু কাগজপত্র জোগাড় করতে পারছিলেন না। অবশেষে দালাল মারফৎ তিনি এপারে আসেন। কিন্তু এপারে এসেও ধরা পড়ে যান তিনি। তাকে হিলি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রেমিকার গ্রেফতারির খবর পেয়ে ওই যুবকও বালুরঘাট আদালতে পৌঁছায়। টোনাশার কাছে হাজার তিনেক টাকা, সিমকার্ড, বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ পাওয়া গিয়েছে।