আকাশ ছোঁয়া দর। একেক জন যুবতীকে বিক্রি করা হয় ৬০-৭০ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশের গরিব ঘরের সুন্দরী মেয়েকেও পাচার করা হত বেঙ্গালুরু, দিল্লি, হায়দরাবাদে। আর সেই চক্রে যিনি মাথা বলে অভিযোগ, সেই লাস্যময়ী লতা সরকারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। আদতে সে বাদুড়িয়ার বাসিন্দা। তবে বেশিরভাগ সময়ই বেঙ্গালুরুর অ্য়াপার্টমেন্টে থাকত। আর সেই লতাই এখন সিআইডির জালে। প্রাথমিক জেরায় লতা জানিয়েছে, বছর পাঁচেক ধরে এই কারবারে যুক্ত সে।মূলত ১৮-২৫ বছর বয়সী মেয়েদের টার্গেট করা হত। দেশের বিভিন্ন হোটেলে নাচের অনুষ্ঠানে, পার্টিতে তাদের মোটা টাকার বিনিময়ে দেওয়া হত।
এদিকে প্রাথমিকভাবে সিআইডি জেনেছে, জাল আধার কার্ড সহ নানা ধরনের জাল পরিচয়পত্র বানানো হত। জাল নথি দেখিয়ে তাদের পাসপোর্টও তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দুবাইতেও পাঠানো হত সুন্দরীদের। মধুচক্রের আসরেও তাদের বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ। আর সে টাকার বখরা পেত লতা। আর সেই টাকায় পাঁচ বছরেই একেবারে ফুলে ফেঁপে উঠেছে লতা। একাধিক ফ্ল্যাট, সোনার গহনা। একেবারে এলাহি জীবন। আর সবটাই ওই নারী বিক্রির টাকায়।
নানা প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে আনা হত সুন্দরী নারীদের। ২০২১ সালে নদিয়া ধানতলা সীমান্ত দিয়ে এক মহিলাকে এদেশে আনার সময়ই লতার বিষয়টি তদন্তকারীদের নজরে আসে। তবে পাড়ার লোকে অবশ্য জানতেন লতা বড় কোনও হোটেলের পদস্থ আধিকারিক। এতটাই বিলাসবহুল তার জীবন। তবে প্রাথমিক তদন্তে সিআইডির ধারণা আন্তর্জাতিক দুনিয়া নারী পাচারকারী হিসাবে বেশ নামডাক লতার।