রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা)’ র প্রধান আতাউল্লাহ সদ্য বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছে। আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার সহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ফ্ল্যাট থেকে সদ্য সঙ্গী-সাথী সহ গ্রেফতার হয়েছে এই আতাউল্লাহ। কীভাবে ওই এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল কুখ্যাত এই রহিঙ্গা জঙ্গি? জানা যায়, মায়ানমারে আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে সে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। এরপর?
রোহিঙ্গা জঙ্গি আতাউল্লাহ:-
গত সোমবার বাংলাদেশে শুধু আতাউল্লাই গ্রেফতার হয়নি। বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জের ওই ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার হয় আদাউল্লাহর পরিবারের সদস্য, সহযোগী সহ ৬ জন। একই দিন ময়মনসিংহ নতুন বাজার এলাকার ১৫ তলা গার্ডেন সিটির ১০ তলার ফ্ল্যাট থেকে দুজন নারী এবং দুজন পুরুষসহ চারজনকেও গ্রেফতার করে বাংলাদেশ প্রশাসন। আতাউল্লাহ গ্রেফতারি কাণ্ড ঘিরে সদ্য মুখ খুলেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশের পুলিশের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সেদেশের এক তাবড় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আরসার প্রধান আতাউল্লাহ পাহাড় থেকে পড়ে ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথা পেয়েছিল। চোট নিয়েই পরিচয় গোপন করে তারা চিকিৎসার জন্য এসেছে বলে নারায়ণগঞ্জে গা ঢাকা দিয়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, তারা কী উদ্দেশে সেখানে এসে থাকছিল, কী প্ল্যান ছিল, তা জেরা করে জানা হবে।
এদিকে, জানা যাচ্ছে, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে, নিজের আসল পরিচয় গোপন করে সেখানে থাকছিল। জানিয়েছিল, তার চট্টোগ্রামে মাছের ব্যবসা রয়েছে। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে গত নভেম্বর থেকে ১১ হাজার টাকা ভাড়ায় সেখানে থাকছিল আতাউল্লাহ। ফ্ল্যাটের মালিককে তখন বলা হয়, আতাউল্লাহর বাড়ি চট্টগ্রামে, মাছের ব্যবসা রয়েছে। আতাউল্লাহ জানায়, ফ্ল্যাটে থেকে সে চিকিৎসা করবে। উল্লেখ্য, ওই ফ্ল্যাটের মালিকও পেশায় ফল ব্যবসায়ী। বাড়ির মালিকের দাবি, ভাড়া নেওয়ার সময় তাঁকে সরকারি আইডিও দেখায় আতাউল্লাহরা।
প্রসঙ্গত, হিন্দুদের উপর নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত এই জঙ্গি নেতা জুনুনির জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে। সেখান থেকে আরব, ফের পাকিস্তানে ফিরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। বেশ কিছুদিন মায়ানমারে আরসার প্রধান হয়ে ছিল এই আতাউল্লা।
এদিকে, বাংলাদেশে ওই ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা কর্মী জানিয়েছেন, চার মাস আগে আতাউল্লাহ যখন ফ্ল্যাটে আসে, তখন লাঠিতে ভর করে একজনের কাঁধ ধরে ফ্ল্যাটের ওপরে ওঠে আতাউল্লাহ। আতাউল্লা নিজে খুব কম বের হতেন বলে জানান এই নিরাপত্তা কর্মী। তারা কারোর সঙ্গে বেশি মিশতনা বলেও জানানো হয়েছে।