৩৭০ ধারা বিলোপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অন্তত ২০টি পিটিশন আদালতে বকেয়া থেকে গিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় শুক্রবার জানিয়েছেন, যে সমস্ত আবেদনকারী কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছেন তাদের ডেকে পাঠাব।
সিনিয়র অ্য়াডভোকেট রাজু রামচন্দ্রন গোটা বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করেছিলেন। তারই উত্তরে একথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, আমি এনিয়ে ডাকব।
এদিকে এর আগেও গত ডিসেম্বর মাসে ৩৭০ ধারা বিলোপকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে জমা পড়া আবেদনগুলির দ্রুত শুনানির জন্য় আবেদন করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই সেই সময় প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, আমরা বিষয়টি যাচাই করে দেখব। তারপর এনিয়ে দিন দেওয়া হবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চের সামনে এই ৩৭০ ধারা বিলোপের আবেদনের বিষয়টি রাখা হয়েছিল। এদিকে বর্তমানে ৩৭০ ধারা বিলোপ সংক্রান্ত একাধিক আবেদন বকেয়া থেকে গিয়েছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এই পিটিশনগুলি শুনানির জন্য় হাজির করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। এদিকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার সামনেও এই আবেদনগুলি এসেছিল। তবে তিনি অবশ্য় এনিয়ে কোনও বিশেষ মন্তব্য করেননি।
তবে সাংবিধানিক বেঞ্চের দুই সদস্য বিচারপতি এনভি রামান্না ও সুভাষ রেড্ডি দুজনেই অবসর নিয়েছেন।
এদিকে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে বিতর্কের রেশ থামেনি এখনও। নানা মহল থেকে এনিয়ে আপত্তি তোলা হয়।অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য় ৩৭০ ধারা বিলোপের সপক্ষে নানা যুক্তি বার বারই উল্লেখ করেছে।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা। পাশাপাশি রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়ে এটিকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ ধারা প্রত্যাহার করেছিল কেন্দ্র। তার ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা রদ হয়ে যায়। সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এরপর থেকেই নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে রাখা হয় কাশ্মীরকে। বিপুল সংখ্যক আধাসেনা সেখানে পাঠানো হয়। বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, সাধারণ কাশ্মীরিদের জন্য একটি কারাগারে পরিণত হয়ে ওঠে উপত্যকা। এই আবহে বারবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার করার দাবি ওঠে বিরোধীদের তরফে। এবার আদালতে কী হয় সেটাই দেখার।