দিল্লিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা করলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার পুরোহিতদের মাসে ১৮ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন আপ নেতা। সোমবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, হিন্দু পুরোহিত এবং এবং শিখ গুরুদ্বারের গ্রন্থিদের এই পরিমাণ মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। আর এই পুরো ভাতা দেওয়া হবে ‘পূজারী, গ্রন্থি সম্মান যোজনা’র অধীনে।
আরও পড়ুন: দিল্লির সব হাসপাতালে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ফ্রি চিকিৎসা!ভোটের আগে কেজরির বার্তা
এদিন আপ সুপ্রিমো জানিয়েছেন, কনট প্লেসের হনুমান মন্দির থেকে এই প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত শুরু করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে। তাঁর কথায়, মন্দিরের পুরোহিত এবং গুরুদ্বার গ্রন্থিরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কিন্তু, কোনও সরকার বা দল তাদের দিকে কোনও মনোযোগ দেয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘এই পুরোহিতরা সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠানের প্রচার করেন। আমি হনুমান মন্দিরের পুরোহিতদের নাম নথিভুক্ত করব। এর পরে দিল্লির সমস্ত মন্দির এবং গুরুদ্বারে, আমাদের বিধায়ক, প্রার্থী এবং কর্মীরা পূজারী এবং গ্রন্থিদের নাম নিবন্ধন করা শুরু করবেন।’
উল্লেখ্য, আগামী বছরের শুরুর দিকে হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি মন্ত্রিসভা ১২ ডিসেম্বর মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ভাতার জন্য ‘মহিলা সম্মান যোজনা’ অনুমোদন করেছে ৷ একই দিনে, কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন যে আপ ক্ষমতায় ফিরলে এই ভাতা বাড়িতে প্রতি মাসে ২,১০০ টাকা করা হবে।
পরে আপ এই প্রকল্পের অধীনে মহিলাদের নাম নথিভুক্ত করতে শুরু করলে বিতর্ক তৈরি হয়। দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ গত ২৫ ডিসেম্বর একটি নোটিশ জারি করে এই নিবন্ধন অভিযানের বিরুদ্ধে আপকে সতর্ক করে। বলা হয়, প্রকল্পটি অস্তিত্বহীন। তবে আপ অভিযোগ করেছে, যে বিজেপি এই প্রকল্পের অধীনে নথিভুক্ত বন্ধ করতে ক্যাম্পে পুলিশ পাঠিয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে কেজরিওয়াল বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন যেন পুরোহিত এবং গ্রন্থিদের নিবন্ধন বন্ধ করতে পুলিশ না পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপিকে অনুরোধ করছি এই প্রকল্পের অধীনে পূজারি এবং গ্রন্থিদের নিবন্ধন বন্ধ করতে আসলে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কারণ এতে ঈশ্বর ক্ষুব্ধ হবেন। পূজারি এবং গ্রন্থিরা সাধারণ মানুষ এবং ঈশ্বরের মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করেন এবং ঈশ্বরের কাছে আমাদের প্রার্থনা পৌঁছে দেন। পুজারী ও গ্রন্থিদের কষ্ট দিতে পুলিশ পাঠালে তারা আপনাকে অভিশাপ দেবে।’
এদিকে, পুরোহিতদের অর্থ প্রদানের জন্য সরকার কীভাবে তহবিলের ব্যবস্থা করবে তা জানতে চাইলে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমি এই প্রকল্পের জন্য তহবিলের কোনও অভাব হতে দেব না।’ উল্লেখ্য, আপ সরকার ২০১৯ সালে দিল্লির ইমামদের মাসিক ভাতা ১০০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার করেছে । তবে অভিযোগ উঠেছে, গত ১৪ মাস ধরে ইমামরা ভাতা পাচ্ছেন না। সেই অভিযোগের মধ্যেই এই ঘোষণা আপ সুপ্রিমোর।