আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে বিজেপি এবং পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা তাঁর দলের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন এবং হয়রানি করছেন। একইসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও আপের কর্মীদের মারধর ও হয়রানির অভিযোগ এনেছেন আপ সুপ্রিমো। এই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত পুলিশকর্মী আধিকারিকদের বরখাস্ত ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এ কী হল? দিল্লির ভোটের পাঁচদিন আগে দল ছাড়লেন সাত AAP বিধায়ক!
চিঠিতে কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন, তাঁর দলের এক স্বেচ্ছাসেবককে পুলিশ বেআইনিভাবে আটক করেছে। চেতন নামে ওই প্রবীণ স্বেচ্ছাসেবকের বিরুদ্ধে আগে একটি মামলা করা হয়েছিল যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক। আপ প্রধানের অভিযোগ, স্বেচ্ছাসেবকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই ধরনের কাজ তিনি কখনও করেননি। শুধু তাই নয়, আটক করার পর চেতনকে বেধরক মারধর করা হয়েছে। যার ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তিনি জামিন পান। কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, চেতনকে পুরো মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে এবং পুলিশ তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করেছে। তাঁর দাবি, চেতন আপকর্মী বলেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
কেজরিওয়ালের আরও অভিযোগ, এটি একটি মাত্র ঘটনা নয়, এছাড়াও একাধিক আপ কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ৯ টি ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন দলের প্রধান। তিনি অভিযোগ করেছেন, নয়া দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পারভেশ বর্মার গুন্ডাবাহিনী আপ কর্মীদের লাঞ্ছিত করছে এবং ভয় দেখাচ্ছে। একজন মহিলা আপ কর্মীকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
কেজরিওয়াল তাঁর চিঠিতে দাবি করেছেন যে এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে নয়াদিল্লি বিধানসভা এলাকায় নিরপেক্ষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মোতায়েন করতে হবে। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে আপ স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও হামলার জন্য দায়ী বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করেছেন। তিনি নিরাপত্তা বজায় রাখতে ব্যর্থতার জন্য এলাকায় মোতায়েন করা পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে বরখাস্ত করারও দাবি জানান। কেজরিওয়ালের অভিযোগ, তিনি নিজেও হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁর কনভয়ের ওপর কিছুদিন আগেই হামলা চালিয়েছিল বিজেপির গুন্ডারা।