দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে ইডির করা মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পেতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে আজ শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে। পাশাপাশি সিবিআই-কে ধমক শুনতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইয়াঁ আজ মন্তব্য করেন, 'ইডির মামলায় কেজরিওয়াল যাতে জামিনে মুক্তি না পেয়ে যান, খুব সম্ভবত সেই কারণেই সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবে পালিত জিন্নার মৃত্যুজয়ন্তী, ভারতকে বলা হল বিষধর সাপ)
আরও পড়ুন: 'আদানি যোগ' থাকা ২৬০০ কোটি বাজেয়াপ্ত সুইস ব্যাঙ্ক থেকে? বিস্ফোরক হিন্ডেনবার্গ
আরও পড়ুন: আরজি কর আন্দোলনের মাঝে CJI-কে নিয়ে ভাইরাল ভুয়ো পোস্ট, এবার মুখ খুলল শাহের পুলিশ
বেশ কয়েকটি শর্তে কেজরীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। জেল থেকে বেরোনোর পর তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না বলে কেজরিওয়ালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এছাড়া, আগবারি মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে। পরে সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করে। মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের হয়ে প্রচার করার জন্যে জামিন দেওয়া হয়েছিল কেজরিকে। পরে ফের তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: থ্রেট কালচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে শাস্তি পাওয়া চিকিৎসক পেলেন 'পুরস্কার'!)
আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর একবছর পর বিয়ে কল্পনা দাসকে, CJI-এর অর্ধাঙ্গিনী বাঙালিই নন!
আরও পড়ুন: CBI জেরার মুখে তৃণমূলের চিকিৎসক MLA, কী বললেন উত্তরবঙ্গ লবির অন্যতম 'মুখ'?
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নয়া নীতি কার্যকর করেছিল। তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, সেই নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবায়ীর থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। মদ বেচার লাইসেন্সের জন্য ডিলাররা ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিকে। এদিকে এই গোটা ঘটনায় তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতার সরাসরি যোগ ছিল বলে দাবি। ইডি অভিযোগ করেছে, কবিতার মদতে দক্ষিণ ভারতে অনেক সংস্থা আপ-কে ঘুষ দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই গোটা লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি। এই আবহে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে 'কোম্পানি' আখ্যা দিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল, এই গোটা দুর্নীতির মাথা নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই।