আম আদমি পার্টি ও বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে ঝামেলার ও হাতাহাতির জেরে স্থগিত হয়ে দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচন। দুই পক্ষই এদিন একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে। এক কাউন্সিলর অন্য কাউন্সিলরের দিকে চেয়ারও ছুড়েছেন। আপ কাউন্সিলররা মোদী বিরোধী স্লোগান তোলেন, বিজেপি কাউন্সিলররা কেজরিওয়াল বিরোধী স্লোগান তোলেন। এই সবের মাঝে আম আদমি পার্টির অভিযোগ, মনোনীত সদস্যদের দিয়ে ভোট করানোর পরিকল্পনা করছে বিজেপি। এই নিয়ে টুইট করে সরব হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে। সংবিধানের ২৪৩আর ধারার উল্লেখ করে কেজরি লেখেন, 'কোনও মনোনীত আইনপ্রণেতাকে দিয়ে ভোট দেওয়ানো অসাংবিধানিক।' (আরও পড়ুন: বিমানে মহিলার গায়ে প্রস্রাব করেও কীভাবে গ্রেফতারি এড়িয়েছিলেন মত্ত ব্যবসায়ী?)
আজ দিল্লির নবনির্বাচিত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণের আগে বিশাল বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল সভাকক্ষে। মেয়র নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরদের শপগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচিত কাউন্সিলরদের আগে মনোনীত এক কাউন্সিলরকে শপথগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান অস্থায়ী স্পিকার সত্য শর্মা। এই নিয়ে আপত্তি জানান আম আদমি পার্টির কাউন্সিলররা। উল্লেখ্য, সত্য শর্মাকে অস্থায়ী স্পিকার হিসেবে নিয়োগ করেছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সক্সেনা। আম আদমি পার্টির সদস্যরা দাবি করেন যে মনোনীত সদস্যদের আগে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নেওয়া উচিত ছিল। এই নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে।
আরও পড়ুন: সুলতানপুরী কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, অন্যের হয়ে নিজের মাথায় দোষ নিয়েছেন চালক! কেন?
উল্লেখ্য, নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে কড়া টক্কর দিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কিছুটা দূরেই দৌড় শেষ হয়েছিল বিজেপির। এই আবহে প্রাথমিক ভাবে মেয়র নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিজেপি। তবে পরবর্তীতে গেরুয়া শিবির জানায়, তারা মেয়র নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রসঙ্গত, বিগত ১৫ বছর ধরে দিল্লি পুরনিগম দখলে রয়েছে বিজেপির। এতবছর অবশ্য দিল্লি পুরনিগম তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। ২০১২ সালের পর এই প্রথম ফের অভিবক্ত দিল্লি পুরনিগমের ভোট হয়। আর এই প্রথম পুরনির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দেয় আম আদমি পার্টি। ২৫০ ওয়ার্ডের দিল্লি পুরসভায় আম আদমি পার্টি জিতেছে ১৩৪টি ওয়ার্ড। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ১০৪টি ওয়ার্ড। এদিকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জনকে মনোনীত করেছেন। এদিকে নির্বাচনের পর থেকেই আম আদমি পার্টির তরফ থেকে অভিযোগ উঠে এসেছে যে বিজেপি তাদের কাউন্সিলরদের কিনে নিতে চাইছে।