করোনা আবহে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন রাজধানীতে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ১০ হাজার শয্যার মধ্যে ৭ হাজার শয্যার আবেদন জানালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাছাড়া করোনা আবহে অক্সিজেনেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে রাজ্যে। সেই ইস্যুতেও কেন্দ্রের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন কেজরিওয়াল।
এদিন দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজধানীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও, হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন ও প্রাণদায়ী ওষুধ রেমডেসিভিরের ঘাটতির জেরে মাথায় হাত কেজরিওয়াল সরকারের। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার উপায় বের করতে এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন কেজরিওয়াল।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৭৫ জন। সংক্রমিতের হার বেড়ে ২৪ শতাংশ হয়েছে। এই অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কেজরিওয়াল বলেন, 'পরিস্থিতি খুবই গুরুতর ও আশঙ্কাজনক। সংক্রমণ খুবই দ্রুত হারে বাড়ছে। সেই কারণেই কয়েকদিন আগেও সব নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখন অভাব শয্যা ও অক্সিজেনের দেখা দিচ্ছে।'
কেজরিওয়াল আরও বলেন, 'যে কোনও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বেডের সংখ্যা বাড়াতে সরকার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আরও ৬০০০ শয্যা বাড়ানো সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহান্তে লকডাউন চলছে দিল্লিতে। এদিকে কুম্ভের পুণ্যস্নান থেকে ফিরেছেন বা পুণ্যস্নান করতে গিয়েছেন এমন দিল্লিবাসীকে ফেরার পর ১৪ দিনের হোম কোয়ারেনটিনে থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিলেন দিল্লির মুখ্যসচিব বিজয় দেব। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, যদি কোনও দিল্লিবাসী এই নিয়ম ভাঙেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।